বিজেপির বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
লাদাখে ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষে সেনা জওয়ানদের প্রাণহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক বিক্ষোভ। রাজ্য জুড়ে বিজেপি পথে নামল চিনা আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানাতে। চিনে তৈরি পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হল বিজেপির বিক্ষোভ থেকে। পাশাপাশি, কংগ্রেস ও তাদের নানা শাখা সংগঠন রাস্তায় নামল ভারতের ‘ব্যর্থ বিদেশনীতি’র প্রতিবাদ জানাতে ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জবাব চাইতে।
দলের যুব মোর্চাকে সামনে রেখেই বুধবার বিক্ষোভের কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। তবে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খান গড়িয়া শ্মশান-কাণ্ডে থানায় দাবিপত্র দিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় সন্ধ্যায় শহরে কেন্দ্রীয় মিছিলের সামনে ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। যোগাযোগ ভবনের সামনে এসে চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের কুশপুতুল পোড়ান তাঁরা। পোস্টার ছিল চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে। লকেট বলেন, ‘‘আগ্রাসনের প্রতিবাদেই আমরা চিনে তৈরি পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছি।’’ তবে হাতে হাতে এখন যে চিনা সংস্থার তৈরি স্মার্টফোন ঘুরছে, তার কী হবে— সেই বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি।
বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে প্রশ্ন তুলতে শুরু করায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও তোপ ঘুরিয়ে দিয়েছেন চিনের দিকে। তাঁর কথায়, ‘‘এই ভারত আর ১৯৬২ সালের ভারত যে এক নয়, সেটা চিন মঙ্গলবারই বুঝে গিয়েছে! আরও ভাল করে বুঝে যাবে!’’
কলেজ স্ট্রিটে বিক্ষোভ ও অবরোধ ছাত্র পরিষদের। —নিজস্ব চিত্র।
শিলিগুড়ি, রায়গঞ্জ, মালদহ, বালুরঘাট-সহ উত্তরবঙ্গের নানা জায়গাতেই এ দিন বিক্ষোভে নেমেছিল বিজেপি। চিনা পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের নানা জায়গাতেও।
মল্লিকবাজারের মোড়ে কংগ্রেসের শহিদ সম্মান। —নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণ ও মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেস এবং কলকাতা জেলা ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে এ দিন সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিট-মল্লিকবাজার মোড়ে নিহত জওয়ানদের স্মৃতিতর্পণ করা হয়েছে। আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, অর্ঘ্য গণেরা সেখানে লাদাখের ঘটনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশদ বিবৃতি দাবি করেছেন। মোদী সরকারের ‘ব্যর্থ বিদেশনীতি’র প্রতিবাদে ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদের নেতৃত্বে কলেজ স্ট্রিটে বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ করেছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন।