প্রতীকী ছবি।
সন্দেশখালি-কাণ্ডের এনআইএ তদন্ত দাবি করল বিজেপি। আজ, বুধবার লালবাজার অভিযানে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই দাবি তুলবে তারা। আর রাজ্যের অস্বস্তি বাড়িয়ে এ দিনই জানা গেল, সন্দেশখালির পরিস্থিতি দেখতে রাজ্যে আসছে জাতীয় তফসিলি জাতি-জনজাতি (শিডিউল্ড কাস্ট) কমিশনের প্রতিনিধি দল। মুখ্যসচিবের দফতরকে চিঠি পাঠিয়ে কমিশনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। প্রতিনিধি দলে কমিশনের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ডিরেক্টর এবং সচিবের থাকার কথা।
বিজেপি নেতা মুকুল রায় মঙ্গলবার বলেন, ‘‘সন্দেশখালি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা। সেখানে বাংলাদেশ থেকে অস্ত্র ঢোকে এবং যে কোনও অপরাধী দুষ্কর্ম করে সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে যেতে পারে। সন্দেশখালিতে আমাদের দলের যে দুই কর্মী খুন এবং চার কর্মী নিখোঁজ হয়েছেন, তার পিছনে রোহিঙ্গাদের হাত থাকতে পারে। তাই দাবি করছি, ওই ঘটনার তদন্তভার নিক এনআইএ।’’
তফসিলি কমিশনের সফর প্রসঙ্গে মুকুলবাবুর বক্তব্য, তফসিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত ১৬টি বিধানসভার মধ্যে ১৩টিতে বিজেপি এবং ৩টিতে তৃণমূল এগিয়ে আছে। তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত ৬৭টি বিধানসভার মধ্যে ৩৪টিতে তৃণমূল এবং ৩৩টিতে বিজেপি এগিয়ে আছে। সেই কারণেই তফসিলি উপজাতি ও জাতির মানুষদের বেছে বেছে আক্রমণ করছে তৃণমূল। সোমবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তার পরেই তফসিলি কমিশনের সন্দেশখালি সফরের খবরে রাজ্যের প্রশাসনিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
আতঙ্কিত সন্দেশখালির মানুষের সঙ্গে দেখা করতে বৃহস্পতিবার সেখানে যাচ্ছেন বামফ্রন্ট নেতারা। ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সেখানে যাবে। বেশ কয়েকটি এলাকায় সন্ত্রাসের জেরে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানাতে সোমবারই জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন জেলা বামফ্রন্টের তরফে পলাশ দাস, তন্ময় ভট্টাচার্য, গার্গী চট্টোপাধ্যায়রা।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।