ফাইল চিত্র।
মেয়ের নিথর দেহের সামনে তিনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন, তা যেন কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না। মর্গের সামনে মেয়েকে এ অবস্থায় দেখে নিজেকে সামলাতে পারেননি সুতপা চৌধুরীর বাবা স্বাধীন চৌধুরী। ভেঙে পড়েছেন কান্নায়। বার বার জ্ঞান হারিয়েছেন। কিছুটা হুঁশ ফিরলেও বিহ্বলতা কাটেনি সুতপার বাবার। কান্নাভেজা কণ্ঠে অস্ফুটে বলে উঠেছেন, ‘‘মেয়েকে এ অবস্থায় দেখতে পাব, তা ভাবতে পারছি না।’’
সোমবার সন্ধ্যায় বহরমপুরে ‘প্রেমিক’ সুশান্ত চৌধুরীর অতর্কিত আক্রমণের শিকার হয়েছেন সুতপা। তার কয়েক ঘণ্টা আগেও হোয়াটসঅ্যাপে মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে মালদহের ইংরেজবাজারের বাসিন্দা স্বাধীনের। তবে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই সে মেয়ে অতীত!
খুনের অব্যবহিত পরেই ইংরেজবাজারে সুতপার বাড়িতে সে খবর পৌঁছয়। বহরমপুরে মেয়ের মেসে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন স্বাধীন। তত ক্ষণে সুতপার নিথর দেহ পাঠানো হয়ে গিয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে। সেখানে ময়নাতদন্তের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে মেয়ের দেহ।
তাঁর সামনে সুতপার দেহ নিয়ে আসা মাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্বাধীন। ইংরেজবাজারের শিক্ষকের কণ্ঠে তখনও অবিশ্বাস, ‘‘এমনটা হতে পারে!’’
শোকে বিহ্বল বাবাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কোনও ভাষা ছিল না কারও কাছে। ওই শোকেও স্বাধীনের আক্ষেপ, ‘‘মেয়েকে যদি আর একটু সাবধানে থাকতে বলতাম... এমন ঘটনা আজ দেখতে হত না!’’