—ফাইল চিত্র।
শেষ মুহূর্তে বড়সড় কোনও পরিবর্তন না ঘটলে দিল্লির রাজপথে এ বারের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে দেখা যাবে না পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ট্যাবলোর বিষয় হিসেবে কন্যাশ্রী-সহ যে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছিল, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট বাছাই কমিটি তা খারিজ দিয়েছে বলেই রাজ্য সরকারের শীর্ষস্থানীয় এক আধিকারিক জানিয়েছেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তার মধ্যেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত জল্পনার সৃষ্টি করেছে।
দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের কুচকাওয়াজ নিয়ে বরাবরই ব্যক্তিগত উৎসাহ দেখিয়েছেন মমতা। কখনও বাছাই কমিটির সঙ্গে টক্করও হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এক বার রবীন্দ্রনাথের ট্যাবলোর সঙ্গে ‘নীল দিগন্তে’ রবীন্দ্রসঙ্গীতের সুর বাজানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। বাছাই কমিটি প্রাথমিক ভাবে আপত্তি তুললেও শেষে তা মেনে নিয়েছিল। মমতা সরকারের আমলে বাংলার ছৌ নাচ সব রাজ্যের ট্যাবলোর মধ্যে প্রথম পুরস্কারও পায়। আর বেশ কয়েকবার কন্যাশ্রী-কে ট্যাবলোর মাধ্যমে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির করানোর জন্য উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তা সফল হয়নি কোনও বারেই।
সূত্রের খবর, এ বার রাজ্যের পাঠানো বিষয়গুলি নিয়ে বিশেষ উৎসাহ দেখায়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কমিটি। এই তিনটি বিষয় ছিল, কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী, জল ধরো জল ভরো। কয়েক সপ্তাহ আগে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে প্রস্তাবগুলি দেওয়া হয়। তার পরে দু’টি বৈঠকে রাজ্যকে ডাকা হলেও পরের বৈঠকগুলিতে পশ্চিমবঙ্গের জায়গা হয়নি। কোনও রাজ্য যদি বৈঠকে ডাক না পায়, তা হলে তাদের ট্যাবলো প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে থাকছে না বলেই ধরে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: গুজরাতের ছাত্রীর খোঁজে পোস্টার বঙ্গের স্কুলে
সরকারি সূত্রের খবর, এ বার ১৩টি রাজ্যের ট্যাবলো জায়গা পাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে গুজরাত, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্য। বাদ গিয়েছে কেরল, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, ত্রিপুরা, বিহার, ঝাড়খণ্ড। তবে সূত্রটির মতে, কোনও রাজ্য বাদ পড়বে, কোন রাজ্যের ট্যাবলো অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হবে, তা বাছাই কমিটিই ঠিক করে। বিরল হলেও শেষ মুহূর্তে কোনও রাজ্যকে ডাকার নজিরও রয়েছে।
ট্যাবলোর জন্য এ বার বিশেষ কোনও বিষয় নিয়ে প্রস্তাব দিতে বলেনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সে জন্যই রাজ্যগুলি তাদের পছন্দের বিষয়গুলি নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছে।