মহুয়া মৈত্র এবং ফিরহাদ হাকিম। —ফাইল চিত্র।
মহুয়া-বিতর্কে তৃণমূলের আপাতত নীরব থাকার অবস্থান থেকে অন্য পথে হাঁটলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি মনে করেন, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তৃণমূলের বাগ্মী সাংসদ। এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, ‘‘মহুয়া যে হেতু বেশি ভোকাল, তাই এ রকম করা হচ্ছে।’’
নগদ অর্থ এবং উপহারের বিনিময়ে সংসদে আদানিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া, তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তাঁর দাবি, শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানি এবং মহুয়া মিলে গৌতম আদানির তথা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছেন। এই মর্মে তিনি লোকসভার স্পিকার এবং লোকপালকে চিঠি লেখেন। দাবি করেন, কোথায়, কবে, কত টাকা নিয়েছেন মহুয়া— সে সব প্রমাণও হাতে রয়েছে তাঁর। ওই শিল্পপতিও কার্যত মেনে নিয়েছেন অভিযোগ। মহুয়ার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জয় অনন্ত দেহদ্রাই-ও একই অভিযোগ করেছেন সিবিআইয়ের কাছে। মহুয়া পাল্টা মানহানির মামলা করেছেন দেহদ্রাই এবং দুবের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট বিতর্কে তৃণমূল এখনও পর্যন্ত মহুয়ার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলছে। আগে এ বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, আপাতত এ ব্যাপারে দলের কিছু বলার নেই। অন্য দিকে, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে সংসদীয় প্যানেলের তদন্ত শেষ হলে তাঁকে নিয়ে দল যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। এই আবহে ফিরহাদ রবিবারেই এবিপি আনন্দকে বলেন, ‘‘মহুয়া নিজে যথেষ্ট সাবলীল এই বিষয় থেকে বেরিয়ে আসার জন্য।’’ তার আগেই ফিরহাদের মন্তব্য, ‘‘আমি মনে করি, মহুয়ার কণ্ঠরোধ করার জন্য একটা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। মহুয়া যে হেতু ভোকাল বেশি তাই এ রকম করা হচ্ছে।’’ তিনি দাবি করেন, মহুয়া বিজেপির বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন বলেই তাঁকে বিপাকে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। ফিরহাদের প্রশ্ন, ‘‘প্রথম বার নরেন্দ্র মোদীর ভোট প্রচারের জন্য প্লেন, হেলিকপ্টার কারা দিয়েছিল? বিজেপি সাংসদের আদানিকে বাঁচানোর ব্যাপারে এত উৎসাহ কেন? নিশ্চিত ভাবে ডাল মে কুছ কালা হ্যায়।’’