বাঁ দিক থেকে মহুয়া মৈত্র, ডেরেক ও’ব্রায়েন। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে সংসদের এথিক্স কমিটি। তদন্ত শেষ হলে এ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে তৃণমূল। রবিবার এ কথা জানালেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। দলের সাংসদ মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কেন এখনও চুপ তৃণমূল? বার বার সেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। এ বার তা নিয়ে সংবাদমাধ্যম পিটিআইয়ের কাছে মুখ খুললেন তিনি।
বিজেপির অভিযোগ, সংসদে শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করে প্রশ্ন করার জন্য শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে ‘নগদ এবং দামি উপহার’ নিয়েছেন মহুয়া। এ নিয়ে তদন্তের দাবি তুলে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, সংসদে লগ-ইন করার নিজের কোড হীরানন্দানিকে দিয়েছেন মহুয়া। কৃষ্ণনগরের সাংসদ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের কোনও বক্তব্য নেই বলে এর আগে জানিয়েছিলেন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, ‘‘যাঁকে কেন্দ্র করে বিষয়টি, তিনিই ভাল বলতে পারবেন। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের এই নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই।’’ এ বার ডেরেক জানালেন, এ বিষয়ে ‘সংবাদমাধ্যমে যে রিপোর্ট’ প্রকাশিত হয়েছে, তা দেখেছে দল। তদন্তের পর যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁর কথায়, ‘‘মহুয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করার পরামর্শ দিয়েছে দল। মহুয়া ইতিমধ্যেই তা করেছেন। যে হেতু এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন এক জন নির্বাচিত সাংসদ, তাই এই নিয়ে আগে তদন্ত করুক সংসদীয় প্যানেল। তার পরেই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল।’’
মহুয়ার বিষয়ে তৃণমূলের ‘নীরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দাবি করেছেন, মহুয়াকে ‘ত্যাগ’ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির একাংশ আবার প্রশ্ন তুলেছে, এত কিছুর পরেও কেন মহুয়াকে বহিষ্কার করেননি শীর্ষ নেতৃত্ব। এক্স (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডলে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনওয়াল্লা লেখেন, ‘‘তৃণমূল সরকারি ভাবে জানিয়েছে, ‘আমরা মন্তব্য করব না। সাংসদ নিজে আত্মরক্ষা করবেন’। এর অর্থ, এক, তৃণমূল মেনে নিয়েছে, মহুয়া মৈত্র গুরুতর অন্যায় করেছেন। সুবিধা নিয়ে বিদেশের মাটি থেকে তাঁর সংসদের লগ-ইন আইডি ব্যবহার করতে দিয়েছেন। দুই, তৃণমূল এটা মেনে নিলে তাঁকে কেন বহিষ্কার করছে না? বিজেপি সাংসদ দুবে লোকপাল তদন্তের দাবিও তুলেছেন মহুয়ার বিরুদ্ধে।