প্রতি বারের মতো দার্জিলিং, কালিম্পং এবং গাজলডোবা কেন্দ্রিক থাকবে না এই কার্নিভ্যাল। জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। —নিজস্ব চিত্র।
এ বার একের পর এক চমক ‘বেঙ্গল হিমালয়ান কার্নিভ্যাল’ ঘিরে। চলতি মাসের শেষের এই কার্নিভ্যালে এ বার আন্তর্জাতিক ছোঁয়া লাগবে। ২৭ থেকে ৩০ জানুয়ারির ওই কার্নিভ্যাল পাহাড় ছাড়িয়ে সমতলেও নামবে। মঙ্গলবার এ হেন একাধিক চমকের কথা জানালেন কার্নিভ্যালের উদ্যোক্তরা।
চলতি বছরে তৃতীয় বর্ষে পড়বে পাহাড়ের এই কার্নিভ্যাল। তবে প্রতি বারের মতো দার্জিলিং, কালিম্পং এবং গাজলডোবা কেন্দ্রিক থাকবে না। বরং কার্নিভ্যালের উদ্যোক্তা ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’ জানিয়েছে, এ বার এতে বেশ কিছু বদল ঘটানো হয়েছে। রাজ্যের পর্যটন দফতরের সহযোগিতায় এই উৎসব শুরু হবে ২৭ জানুয়ারি দার্জিলিঙের বিজনবাড়িতে। তবে উৎসব পৌঁছবে নয়া জায়গায়ও। এর পর একাধিক অনুষ্ঠানের পর ২৯ জানুয়ারি ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি ঘুরে কার্নিভ্যাল শেষ হবে ৩০ তারিখ চুইখিমে।
এই উৎসবে নতুন জায়গার সন্ধানও পাবেন পর্যটকেরা। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র রাজ্যই নয়, আন্তর্জাতিক স্তরের বহু পর্যটন সংগঠন এ বারের কার্নিভালে অংশগ্রহণ করছে। যাঁরা ভ্রমণ নিয়ে লেখালেখি করেন, থাকবেন তাঁরাও। উদ্যোক্তা সংগঠনের এগ্জিকিউটিভ সদস্য প্রেক্ষা শর্মা বলেন, ‘‘২৭ জানুয়ারি বিজনবাড়ি থেকে ল্যান্ডরোভার র্যালির মাধ্যমে এই কার্নিভ্যালের সূচনা হবে। এ ছাড়া মেঘেটারে প্যারাগ্লাইডিংয়ের ট্রায়ালও রাখা হয়েছে। বিজনবাড়ি বা মেঘাটারের ঐতিহ্য সম্পর্কে পর্যটকদের ওয়াকিবহাল করাও আমাদের লক্ষ্য। সুবিশাল মেডিসিন প্ল্যান্ট নিয়ে থাকছে একটি কর্মশালা।’’
সংগঠনের অন্যতম উপদেষ্টা রাজ বসু বলেন, ‘‘রাজ্যের পর্যটন বিভাগের সহযোগিতায় এ বার কার্নিভ্যাল হবে। দার্জিলিঙের বিজনবাড়িতে মেঘেটার জঙ্গলের সঙ্গে পরিচয় ঘটবে পর্যটকদের। তাঁদের কাছে আকর্ষণীয় হতে উঠতে পারে কালিম্পঙের চুইখিমে ইয়ালবং রিভার ক্যানিয়ন।’’ আসন্ন উৎসবে পরিবেশরক্ষার দিকের নজর দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। রাজ আরও বলেন, ‘‘এ বারের কার্নিভ্যাল প্লাস্টিকবিহীন করার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গের একটা অংশে হিমালয়ের সঙ্গে গোটা দেশের পাশাপাশি বিশ্বকেও পরিচয় করিয়ে দিতে চাই।’’