আরাবুল বলেন, ‘‘আইএসএফের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে আমরা শান্তি মিছিল করব। কারণ, মানুষ ভুল বুঝছেন।’’ —নিজস্ব চিত্র।
ভাঙড়ে মিছিল হবেই। পুলিশ অনুমতি দিলেও হবে। না দিলেও। মঙ্গলবার এই মর্মেই হুঁশিয়ারি দিলেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তাঁর হঁশিয়ারি, অনুমতি পাই, আর না-পাই মিছিল হবেই। মিছিলের সময়ও নির্দিষ্ট করে দিয়ে জানিয়েছেন, বুধবার ঠিক আড়াইটেয় মিছিল হবে। সেখানে রাজ্য নেতৃত্বও হাজির থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
হাতিশালার দলীয় কার্যালয়ে হামলা এবং ভাঙচুরের অভিযোগে ভাঙড়ে মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করতে চেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু ওই কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত হাতিশালা এলাকায় কোনও রাজনৈতিক দলই জমায়েত করতে পারবে না।
পুলিশের এই নির্দেশনামা জানার পরেই মঙ্গলবার দুপুরে আরাবুলের ছেলে তথা যুব তৃণমূলের নেতা হাকিমুল ইসলাম জানান, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা কাজ করবেন। অন্য দিকে আরাবুল জানিয়েছেন, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই ওই মিছিল হবে। তিনি বলেন, ‘‘দলের নির্দেশেই শান্তি মিছিল হবে। আইএসএফের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে আমরা শান্তি মিছিল করব। কারণ, মানুষ ভুল বুঝছেন। তাঁদের বার্তা দিতে হবে যে, আমরা ওঁদের পাশে আছি।’’
আরাবুল জানান, দলের সঙ্গে কথা বলে মিছিলের তারিখ ঠিক করেছেন তাঁরা। শাসকদলের ওই নেতার কথায়, ‘‘এখন যদি কেউ মনে করে, গায়ের জোরে পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে মিছিল করতে দেবে না, সেটা হবে না।’’ আরাবুলের দাবি, এতে মানুষের কাছে তাঁদের দল সম্পর্কে খারাপ বার্তা যাবে। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ উৎসাহিত হয়ে টাকা খরচ করে গাড়ি ভাড়া করেছেন। তাঁরা তৈরি হয়ে আছেন বুধবারের সভায় আসার জন্য।’’
সব মিলিয়ে পুলিশ-প্রশাসনকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন আরাবুল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ঠিক হয়েছিল, কলকাতা পুলিশের আওতাধীন এলাকায় মিছিল হবে। পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় এ বার সেই কর্মসূচিই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পাকাপুল ও গাছতলা এলাকায়। ওই এলাকা বারুইপুর পুলিশ জেলার মধ্যে পড়ে। বারুইপুর জেলা পুলিশও ওই কর্মসূচিতে কলকাতা পুলিশের মতো অনুমতি না-ও দিতে পারে। আরাবুলরা যদিও সে সব নিয়ে আর ভাবছেন না। তাঁদের স্পষ্ট ঘোষণা, অনুমতি পাই, আর না-পাই মিছিল হবেই।