ছবি: পিটিআই।
পর্যটকদের কাছে দিঘার আকর্ষণ উত্তরোত্তর বাড়ছে। এই অবস্থায় দিঘা থেকে সি-প্লেন চালাতে চাইছে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের যাত্রীদের নিয়ে সেই বিমান নামবে সমুদ্রের উপরে। সেখান থেকে নৌকায় বা লঞ্চে চেপে পৌঁছতে হবে সৈকতে।
বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী সোমবার দিল্লি থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ ও পরিবহণ সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের সঙ্গে ভিডিয়ো-সম্মেলন করেন। সেখানে আলোচ্যের মধ্যে ছিল সি-প্লেন। যদিও সরকারি সূত্রের খবর, বিষয়টি এখন একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের তরফে সি-প্লেন চালানোর একটি প্রস্তাব কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন পবনহংস সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, দিঘা থেকে আদৌ এই বিমান চালানো সম্ভব কি না। পবনহংস মূলত হেলিকপ্টার চালায়। এক সময় রাজ্য সরকারও তাদের কপ্টার ভাড়া নিয়ে রেখেছিল। কয়েক বছর আগে আন্দামানে সি-প্লেনও চালিয়েছিল পবনহংস। সেই সি-প্লেন বিদেশ থেকে ভাড়া করে আনা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বজবজের যুবক কেন খুন মেরঠে, বাড়ছে ধোঁয়াশা
তবে দিঘায় সি-প্লেন না-চালিয়ে উভচর বিমান চালানোর পক্ষেও সওয়াল করেছেন কেউ কেউ। তাঁদের বক্তব্য, সি-প্লেন তো চলবে শুধু জলে। কলকাতায় গঙ্গাবক্ষ থেকে সেই বিমান চালানো গেলেও রাজ্যের অন্য অনেক জায়গায় সেটি যেতেই পারবে না। তার চেয়ে উভচর বিমান চালালে সেটি জলে-স্থলে ওঠানামা করতে পারবে।
সোমবারের বৈঠকে কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে আবার বিমান পরিষেবা চালু করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আপাতত ওই বিমানবন্দর বন্ধ। সেখান থেকে কোনও বিমানই ওঠানামা করছে না। মালদহ ও বালুরঘাটে রাজ্য সরকারের তৈরি নতুন বিমানবন্দর নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে কথা হয়েছে কলকাতা আর বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ নিয়েও।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এই ভিডিয়ো-সম্মেলনে বিহার, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং উত্তরপ্রদেশও ছিল। প্রায় প্রতিটি রাজ্যের তরফেই বিমানের জ্বালানির উপরে কেন্দ্রীয় কর কমাতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, বিমানের জ্বালানিতে জিএসটি কমানোর জন্য জিএসটি কমিশনকে বলা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন বিমানমন্ত্রী। রাজ্য সরকাগুলিকেও জ্বালানির উপরে রাজ্যের কর কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।