মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিবহ মুখোপাধ্যায়।
হামলার চার দিন পর আহত জুনিয়র চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সকালে এমনটাই জানা গিয়েছিল। কিন্তু দুপুরে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে আন্দোলনকারীরা নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার ‘প্রস্তাব’ ফিরিয়ে দেয়। তার পরেই জানা যায়, পরিবহকে দেখতে নয়, মুখ্যমন্ত্রী যাচ্ছেন নবান্নেই।
পুলিশের একটা সূত্র জানাচ্ছে, এ দিন দুপুরে হঠাৎই বার্তা আসে মুখ্যমন্ত্রী পরিবহকে দেখতে মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেসে যেতে পারেন। সেই মতো পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় ওই হাসপাতাল চত্বরে। পৌনে দুটো নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর বেরনোর কথা ছিল কালীঘাটের বাড়ি থেকে। কিন্তু ঠিক সেই সময়েই এনআরএসে চলছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের জিবি বৈঠক। বৈঠক শেষে তাঁরা জানিয়ে দেন, নবান্নে গিয়ে তাঁদের কোনও প্রতিনিধি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন না। এর পরেই জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী সোজা নবান্নেই যাবেন। তার আগেই নবান্নে ডেকে পাঠানো হয় স্বাস্থ্যসচিব রাজীব সিংহকে।
চিকিৎসক মহলের একটা অংশের মতে, পরিবহকে দেখতে যাওয়ার বিষয়ে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী এক ঢিলে দুটো উদ্দেশ্য সফল করতে চেয়েছিলেন। প্রথমত, প্রথম দিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি ছিল পরিবহকে দেখতে যেতে হবে। দ্বিতীয়ত, একই সঙ্গে ভাবা গিয়েছিল বিকেলে নবান্নের বৈঠকে আসতে সম্মত হবেন আন্দোলনকারীরা। তাই একটা সুস্থ বাতাবরণ তৈরি করতে পরিবহকে দেখতে যাওয়ার থেকে ভাল আর কী হতে পারে! ওই অংশের মতে, এই দুই উদ্দেশ্যেই মুখ্যমন্ত্রী হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় সেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনেন তিনি। এমনটাই মত চিকিৎসকদের ওই অংশটির।
আরও পড়ুন: ‘অসত্ উদ্দেশ্যে ডাক্তার আন্দোলনে বাইরের লোক’, বহিরাগত বিতর্কে এ বার শান্তনু সেন
এ দিন বিকেলে মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেসে পরিবহকে দেখতে যাওয়ার কথা রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং স্বাস্থ্য সচিব রাজীব সিংহের। তেমনটাই জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে।
আরও পড়ুন: নবান্নে যাব না, মুখ্যমন্ত্রী এখানে আসুন, বৈঠক শেষে জানিয়ে দিলেন অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।