বাংলাতেও সাগর থেকে পাহাড় পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। ফাইল চিত্র।
ডিসেম্বরে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র অঙ্গ হিসেবে বাংলাতেও সাগর থেকে পাহাড় পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। কিন্তু সেই পদযাত্রার প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক আয়োজনের জন্য কমিটি গড়া নিয়েও বিতর্ক বাধল দলে! কেন অন্যেরা আছেন, কেন তাঁরা নেই, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেতাদের একাংশ। প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, কমিটিতে আরও কিছু নাম অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেসে পরবর্তী বৈঠক ডাকা হয়েছে ১৮ অক্টোবর।
সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যকে এ রাজ্যে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সমন্বয়ের দায়িত্ব দিয়েছে এআইসিসি। প্রদীপবাবুর নেতৃত্বেই প্রদেশ কংগ্রেসে কমিটি গড়ে তার আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতোকে। কমিটি অবশ্য গড়া হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ‘নির্দেশ’ সামনে রেখে। ওই ১২ জনের কমিটিতে আছেন প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র, মনোজ চক্রবর্তী, শঙ্কর মালাকার, শুভঙ্কর সরকার, মহম্মদ মুখতার, তাপস মজুমদার, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, নিলয় প্রামাণিক, সৌম্য আইচ রায়েরা। সাগরে কপিল মুনির আশ্রম এবং পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থেকে শুরু হয়ে যে সব জেলা দিয়ে পদযাত্রা উত্তরবঙ্গে যাবে, সেই সব জেলার সভাপতিরাও কমিটিতে থাকবেন বলে প্রদেশ কংগ্রেসের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে কলকাতাও। কিন্তু উত্তর কলকাতা ও মধ্য কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতিদের সরাসরি ১২ জনের মধ্যে রাখা হলেও দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতিকে সেখানে জায়গা দেওয়া হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার দুই সাংগঠনিক জেলা, হাওড়া বা পূর্ব মেদিনীপুরের সভাপতিদেরও সরাসরি কমিটিতে না রাখা নিয়েও। কমিটির সভাপতি প্রদীপবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, এই বিতর্কের বিষয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই। দিল্লি থেকে বুধবার রাতে প্রদীপবাবু বলেছেন, ‘‘যে জেলা দিয়ে পদযাত্রা যাবে, সেখানকার সভাপতিদের ডেকে নেওয়া হবে। এই রকমই ঠিক হয়েছিল।’’