Durgapur Steel Plant

ডিএসপি-তে দুর্ঘটনার তদন্ত, ‘সাসপেন্ড’ দুই

রবিবার কারখানার ব্লাস্ট ফার্নেস বিভাগে গরম গলতি লোহা ছিটকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২২ ০৭:২৩
Share:

সিটুর বিক্ষোভ। ডিএসপিতে। নিজস্ব চিত্র

সেল-এর দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে (ডিএসপি) দুর্ঘটনায় রবিবার এক ঠিকাকর্মীর মৃত্যু হয়। তিন ঠিকাকর্মী গুরুতর জখম হন। ওই ঘটনার পরে সোমবার কারখানার দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে, খবর ডিএসপি সূত্রে। পাশাপাশি, এ দিন রাঁচী থেকে সেল-এর ‘উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন’ একটি দল ডিএসপি-তে পরিদর্শনে এসেছিল।

Advertisement

রবিবার কারখানার ব্লাস্ট ফার্নেস বিভাগে গরম গলতি লোহা ছিটকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের ‘ভেন্টিলেশনে’ রাখা হয়েছে। অন্য এক জখমের অবস্থা তুলনায় স্থিতিশীল।

এ দিকে, দুর্ঘটনার পরেই দু’জন সিজিএম এবং এক জন জিএম পদমর্যাদার আধিকারিককে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছেন ডিএসপি কর্তৃপক্ষ। কারখানা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এমআরডি অ্যান্ড স্ল্যাগ ব্যাঙ্ক অপারেশেন এবং ট্র্যাফিক বিভাগের দু’জন আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ডিএসপি-র একটি সূত্রের দাবি, কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগেই ওই দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Advertisement

যদিও সাসপেন্ড করার বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কারখানার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বেদবন্ধু রায়। পাশাপাশি, তিনি বলেন, “রাঁচী থেকে সেল-এর হাই পাওয়ার সেফটি দল এ দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।”

তবে এর পরেও শ্রমিক অসন্তোষ দেখা গিয়েছে সোমবার। এ দিন শ্রমিক নিরাপত্তা জোরদার করার দাবিতে কারখানার ভিতরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সিটু। সংগঠনের নেতা সৌরভ দত্ত বলেন, “বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে। এ নিয়েই আমাদের বিক্ষোভ। কারখানার যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেখানেও এ দিন বিক্ষোভ দেখানো হয়। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে বিভিন্ন দাবির কথা জানিয়ে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছি।” দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে আরও কাদের কর্তব্যে ‘গাফিলতির’ জন্য এই ঘটনা, তা খুঁজে বার করার দাবি জানিয়েছেন আইএনটিইউসি নেতা দেবাশিস চৌধুরী। এ দিন বিএমএসের প্রতিনিধিরা বিধাননগরের বেসরকারি হাসপাতালে জখমদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা আহত শ্রমিকদের পাশে সবরকম ভাবে রয়েছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আমরা ওঁদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেছি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement