Murder

Murder: সম্পত্তি দখলে ভাড়াটে খুনি লাগিয়ে স্বামীকে খুন, ইসিএলের প্রাক্তন কর্মী হত্যার কিনারা

পরেশের স্ত্রী, দুই মেয়ে এক এক ছেলে। তবে পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল না। তাই সম্পত্তি দখল করতে খুন বলে অনুমান পুলিশের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৪২
Share:

আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিহতের স্ত্রী মংলি মারান্ডিকে। নিজস্ব চিত্র

খনি শহরে ইসিএলের প্রাক্তন কর্মীকে গুলি করে খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। গত বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির শীতলপুরের কাছে তুলসী হেরে গ্রামের বাসিন্দা পরেশ মারান্ডিকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডের কিনারা করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সম্পত্তি দখল করতেই পরেশকে খুনের সুপারি দিয়েছিল তার স্ত্রী মংলি মারান্ডি। ওই কাণ্ডে পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে এখনও সন্ধান মেলেনি সুপারি কিলারের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরেশের স্ত্রী, দুই মেয়ে এক এক ছেলে রয়েছে। তবে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল না। পরেশ এক সময় ইসিএলের বাংলোয় মালি হিসাবে কাজ করতেন। তবে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন বছর তিনেক আগে। পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, পরেশের বাড়িতে টাকাপয়সা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। তাই বিষয়টি নিয়ে মঙলি ভিকি নুনিয়া নামে তার মেয়ের এক বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করে। ভিকি বিষয়টি নিয়ে সন্দীপ নুনিয়া নামে তার এক বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করে। এর পরই পরেশকে খুনের ছক কষা হয়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, আড়াই লক্ষ টাকার বিনিময়ে পরেশকে খুনের সুপারি দেয় মংলি। এ জন্য ভিকি এবং সন্দীপকে আগাম ২০ হাজার টাকাও দেওয়া হয়। সন্দীপ এর পর যোগাযোগ করে বিশাল পাসওয়ান নামে আর এক দুষ্কৃতীর সঙ্গে। সেই সূত্রে হিমাংশু পাসওয়ান নামে বিহারের মুঙ্গেরের এক ব্যক্তিকে পরেশকে খুনের সুপারি দেওয়া হয়। হিমাংশু সুপারি কিলার হতে পারে বলে ঘোরতর সন্দেহ পুলিশের।

Advertisement

আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পশ্চিম) অভিষেক মোদী জানিয়েছেন, হিমাংশু ট্রেনে কুলটিতে আসে। সন্দীপ তাকে রেলস্টেশন থেকে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরেশকে খুনের জন্য হত্যাকারীরা মঙ্গলবার প্রথম চেষ্টা করে। কিন্তু যে মাঠে পরেশের দেহ পাওয়া যায় সেখানে খেলাধুলো চলছিল। তাই মঙ্গলবার হত্যাকারীদের চেষ্টা সফল হয়নি। এর পর বুধবার সকালে পরেশকে গুলি করে খুন করে ওই দলটি। এর পর তারা চম্পট দেয়। ধৃতরা পুলিশি জেরার মুখে এ সব কথা স্বীকার করেছে বলেও পুলিশের দাবি। তাদের থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ভিকি এবং বিশালের আগে কোনও পুলিশ রেকর্ড ছিল না।

পুলিশের দৃঢ় ধারণা, পরেশের মৃত্যুকালীন সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করা, স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যেই মংলি খুনের ছক কষেছিল। তবে ওই কাণ্ডের অন্যতম পাণ্ডা হিমাংশুর কোনও খোঁজ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। পুলিশ তার সন্ধান চালাচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement