আবার ৪ কিলোগ্রাম ওজন বেড়েছে কেষ্টর। এবং সেটাও মাত্র ১১ দিনে! এমনটাই জানা যাচ্ছে আসানসোল জেলা হাসপাতাল সূত্রে। —ফাইল চিত্র।
শরীর ভাল নেই অনুব্রতের। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি শুক্রবারই আদালতে জানিয়েছেন তাঁর ফিসচুলার সমস্যা বেড়েছে। হাসপাতালে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষমেশ কেষ্ট নিজেই রাজি হননি। তবে ডাক্তারি পরীক্ষার পর জানা গেল অনুব্রতের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা মোটামুটি ঠিকঠাক আছে। পালস রেট ৮২ এবং রক্তচাপ ১০৬/৮০। তবে আবার ৪ কিলোগ্রাম ওজন বেড়েছে কেষ্টর। এবং সেটাও মাত্র ১১ দিনে! এমনটাই জানা যাচ্ছে আসানসোল জেলা হাসপাতাল সূত্রে।
দিল্লি যাওয়া আটকাতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া অনুব্রত। শনিবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে তৃণমূল নেতার ওজন এখন ৯৫ কেজি। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি কেষ্টর ওজন ছিল ৯১ কিলোগ্রাম। এমনটাই জানা গেল হাসপাতাল সূত্রে।
গত বছরের অগস্ট মাসে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা। ২৫ অগস্ট তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য আসানসোল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় তাঁর ওজন ছিল ১০৯.৯ কিলোগ্রাম, অর্থাৎ প্রায় তিন মণ। কিন্তু দু’মাসেই প্রায় ১০ কেজি ওজন কমে যায় অনুব্রতের। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অক্টোবর মাসে কেষ্টর ওজন হয় ১০০ কিলোগ্রাম অর্থাৎ এক কুইন্টাল। এর পর একাধিক বার সংশোধনাগারের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কেষ্ট। কখনও জ্বর, কখনও বুকে ব্যথা তো কখনও ফিসচুলার ব্যথায় কষ্ট পেয়েছেন তিনি। এ সবের মধ্যে জানা গেল তাঁর ওজন এখন ৯৫ কিলোগ্রাম।
হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘যে চিকিৎসক অনুব্রতের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেছেন, তিনি এক জন জেনারেল ফিজিশিয়নকে দেখিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তা ছাড়া এই মুহূর্তে বড় কোনও সমস্যা নেই অনুব্রতের। হাসপাতালে ভর্তি করানোর মতো শারীরিক পরিস্থিতি হয়নি রোগীর। তবে যে ওষুধপত্র খান, সেগুলি নিয়ম মতো খেতে হবে। তা ছাড়া ফিসচুলার সমস্যাও রয়েছে।’’ তবে ‘ডাক্তারি নোটে’ রক্তপাতের ঘটনার উল্লেখ নেই বলেই জানান চিকিৎসক।