গ্রেফতার হওয়া কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচীর পাশে আছেন বলে জেল থেকে বেরিয়ে জানালেন নওশাদ। ফাইল চিত্র ।
বাম নেতাদের মতো তিনিও গ্রেফতার হওয়া কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচীর পাশে রয়েছেন। ৪২ দিন বন্দি থাকার পর প্রেসিডেন্সি জেল থেকে মুক্তি পেয়েই ঘোষণা করলেন বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের প্রার্থী হয়ে জেতা ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। শনিবার সকালে প্রেসিডেন্সি জেল চত্বর থেকে বেরোনোর সময় কৌস্তুভের গ্রেফতারির বিরোধিতা করেন ভাঙড়ের বিধায়ক। বলেন, ‘‘কৌস্তুভের পাশে আছি। লড়াই চলবে।’’
শনিবার নওশাদ ছাড়া পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভকে। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর দায়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও কংগ্রেস নেতার দাবি, তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ‘বিনা কারণে’।
অন্য দিকে, শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ নওশাদ-সহ ২১ জন আইএসএফ নেতা-কর্মী-সমর্থককে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে ছাড়া হল। জেল থেকে বেরিয়েই তাঁর হুংকার, ‘‘কেউ যদি ভেবে থাকে যে আমি ভয় পেয়েছি, তা হলে ভুল করছে। আমি মানুষের সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলাম, আছি এবং থাকব। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও কথা বলব আবার সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়েও কথা বলব। আমি জানি না কেন কৌস্তুভকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাঁর সঙ্গে যদি অন্যায় হয়ে থাকে, তা হলে আমি তাঁর পাশে আছি। তাঁর জন্য আমি গলা ফাটাব।’’ মুক্তি পাওয়ার পর, জেলের মান উন্নয়নের দাবিও তুলেছেন আইএসএফ বিধায়ক।
গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ কর্মীদের। গ্রেফতার হন নওশাদরা। নিম্ন আদালতে দুটি আলাদা থানার মামলায় তাঁদের জামিন মেলেনি। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে গ্রেফতারির ৪০ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার তাঁরা জামিন পান। শুক্রবারই নওশাদের জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাগজপত্র ঠিক মতো না পৌঁছনোয় তা হয়নি। মুক্তি মিলল শনিবার।