চুরি যাওয়া টাকা এখনও উদ্ধার করা যায়নি বলেই খবর পুলিশ সূত্রে। প্রতীকী ছবি।
২৩ লক্ষাধিক নগদ টাকা নিয়ে কলকাতায় যাচ্ছিলেন বিহারের এক বাসিন্দা। রাস্তায় কিছু ক্ষণের জন্য বাস থামায় সহযাত্রীদের সঙ্গে তিনিও নামেন। এর পর ফিরে এসে বিহারের সেই যাত্রী দেখলেন, ব্যাগ খোলা! সব টাকা উধাও! দিন কয়েক আগে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হলেন দু’জন। যাঁরা সম্পর্কে বাবা এবং ছেলে। বুধবার রাতে স্থানীয় পুলিশের সাহায্য নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার মুদিয়ালি থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
জামালপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মহম্মদ সাবির হোসেন এবং মহম্মদ আতিক হোসেন। কলকাতার মেটিয়াবুরুজ থানার লিদিপাড়ায় তাঁদের বাড়ি। তাঁদের বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ৬ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগে কলকাতায় যাচ্ছিলেন বিহারের নবাদা জেলার গোবিন্দপুর থানার সোরহা গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপকুমার যাদব। তাঁর দাদা রাজেশ কুমার সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। দু’বছর আগে তিনি অবসর নেন। কলকাতায় ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। সেই ফ্ল্যাট কেনার জন্য ২৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছিলেন ভাই প্রদীপ। ঘটনার দিন বাসটি ভোরে বর্ধমানে কিছু ক্ষণের জন্য থামে। বাস থেকে নামেন কিছু যাত্রী। প্রদীপও নেমেছিলেন। এর পর তিনি ফিরে এসে দেখেন, তাঁর সব টাকা চুরি গিয়েছে।
প্রদীপই পুলিশকে জানান, তাঁর পাশের আসনে এক জন এবং পিছনের আসনে দু’জন বসেছিলেন। টাকা চুরি যাওয়ার পর তিনি লক্ষ করেন, পিছনের আসনে বসে থাকা সেই যাত্রীও উধাও বাস থেকে। প্রদীপের এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে সাবির ও আতিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও চুরি যাওয়া টাকা এখনও উদ্ধার করা যায়নি বলেই খবর পুলিশ সূত্রে।