আসানসোলে তৃণমূলের কর্মিসভা। —নিজস্ব চিত্র।
পুরভোটে বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। তার উপর ভিত্তি করেই আসানসোলে লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ব্যবধান বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে জোড়াফুল শিবির। পাশাপাশি, দলে গোষ্ঠীকোন্দল মিটিয়ে সকলকে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপানোর নির্দেশও দিয়েছেন খনি শহরের তৃণমূল নেতারা। অন্য দিকে, তৃণমূলের পুরভোটে জয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রচারে নামার তোড়জোড় শুরু করেছে বাম এবং বিজেপি শিবিরও।
রবিবার দুপুরে আসানসোলের কল্যাণপুর হাউসিংয়ে কর্মিসভা করে তৃণমূল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের তৃণমূল নেতারা। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, ‘‘আমরা এমন অবস্থায় ভোটে লড়ছি যাতে জয় নিশ্চিত। তবে ব্যবধান বাড়াতে হবে। অনেক এলাকায় আমরা বিগত নির্বাচনে ভোট পাইনি। সেখানে এ বার মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে। জয়ী কাউন্সিলরদের প্রত্যেককে অন্তত ১০টি করে ভোট বাড়াতে হবে। না হলে তিনি পাঁচ বছর কাউন্সিলরই থেকে যাবেন, আর কিছু করার সাধ্য হবে না। কাউন্সিলরদের বলব, যাঁরা আপনাদের জয়ে যাঁরা সাহায্য করেছেন তাঁদের সঙ্গে আজই বাড়ি ফিরে গিয়ে বৈঠক করুন।’’ দলের হয়ে যাঁরা কাজ করবেন না তাঁদের চিহ্নিত করার দরকার আছে বলেও জানিয়েছেন মলয়। পুরভোটে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থির করে দেওয়া প্রার্থীদের বিরোধিতা করা হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। সেই পর্ব ভুলে সর্বশক্তি নিয়ে উপনির্বাচনে ঝাঁপানোর নির্দেশ দিয়েছেন মলয়।
এ নিয়ে আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির বক্তব্য, ‘‘এ বার ভোটে লম্বা লম্বা লাঠি নিয়ে লম্বা লম্বা নিরাপত্তারক্ষী থাকবে। যদি কেউ ছাপ্পা ভোট দিতে আসে তা হলে তাদের পিঠে যে দাগ পড়বে তা দেখার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’’
অন্য দিকে, আসানসোলের সিপিএম প্রার্থী পার্থ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘পুরভোট এবং লোকসভা ভোটে অনেক ফারাক। পুরভোটে তৃণমূল যা করেছে, তার জবাব এই উপনির্বাচনে আসানসোলের মানুষ দিয়ে দেবেন।’’