বর্ধমানে সোহমের রোডশো। নিজস্ব চিত্র।
শনিবার বর্ধমান শহর-সহ পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেন বিজেপি সভাপতি জয়প্রকাশ নড্ডা। রবিবার সেই শহরেই পাল্টা রোডশো করল তৃণমূল। রোডশোয়ে ছিলেন তৃণমূল যুব সভাপতি অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী-সহ জেলা নেতৃত্ব। পুলিশের হিসেব মতো বিজেপি রোড শোয়ের প্রায় দ্বিগুণ মানুষ অংশ নেন তৃণমূলের এই কর্মসূচিতে। তবে বিজেপির দাবি নড্ডার রোডশোয়ে মানুষের আবেগ ছিল।
রবিবার বর্ধমানের টাউনহল থেকে মিছিল শুরু হয়ে জিটি রোড ধরে এগিয়ে ৩ কিলোমিটার দূরে কাঁটাপুকুরে শেষ হয় তৃণমূলের মিছিল। এই রাস্তা পার করতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। সোহম ছাড়াও মিছিলে ছিলেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন দেবনাথ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র দেবু টুডু জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার। সোহমকে দেখতে বাড়ির ছাদেও মানুষ ভিড় জমান।
সোহম দাবি করেন, তাঁদের মিছিলে যাঁরা ছিলেন তাঁরা সবাই পূর্ব বর্ধমানের মানুষ। কেউ ভিন রাজ্যের নন। নড্ডা বা মোদী যে-ই আসুন মমতাকেই মানুষ ভোট দেবেন। বাংলাকে কুনজরে দেখলে ভোটে তার জবাব পাবে বিজেপি।
পুলিশের দাবি, শনিবার বিজেপির রোডশোয়ে জমায়েত ছিল ২৪ হাজার মানুষের আর রবিবার প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ মিছিলে হাঁটেন। দেবু টুডুর দাবি, মানুষের জমায়েত বুঝিয়ে দিল মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছেন। এই জনসমাগম দেখে বিজেপি ভয় পাবে।
বিজেপি জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী তৃণমূলের মিছিল প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, “তৃণমূল কী বলল তাতে কারও কিছু এসে যায় না। মানুষ ঠিক করে নিয়েছেন কাকে ভোট দেবেন। আর শনিবার বর্ধমান শহর আরও একবার প্রমাণ করে দিয়েছে। নড্ডার মিছিলে মানুষের যে আবেগ ছিল তৃণমূলের মিছিলে তার ছিটেফোঁটাও ছিল না।”