এলাকায় জটলা। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে তেতে উঠল ডিএসপি টাউনশিপের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জেসি বোস এলাকা। বিজেপির অভিযোগ, বুধবার রাতে তাদের বেশ কয়েকজন কর্মীকে মারধর করে তৃণমূলের লোকজন। তাতে এক কাউন্সিলর নেতৃত্ব দেন বলেও অভিযোগ। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, পাড়ায় কোনও বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনায় দু’পক্ষের চার জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবাদের সূত্রপাত সে দিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ। বিজেপির দাবি, জেসি বোস এলাকায় ভীম মুখিয়া নামে এক তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে বচসা বাধে সুরজ মণ্ডল নামে তাদের এক কর্মীর। তা থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। ভীম ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব ঘোষের গাড়ির চালক। তখন বিবাদ মিটেও যায়। কিন্তু অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরে ভীমকে নিয়ে কাউন্সিলর-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী ফিরে আসেন। লাঠি, রড, বাঁশ দিয়ে এলাকার বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়।
বিজেপি কর্মী সুনীল রাম অভিযোগ করেন, তাঁর মা উর্মিলাদেবী তাঁদের বাঁচাতে এলে রড দিয়ে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আরও অভিযোগ, স্থানীয় একটি ক্লাবেও ভাঙচুর চালায় তৃণমূলের লোকজন। কাউন্সিলর রাজীববাবুর নেতৃত্বেই এই হামলা হয় বলে বিজেপির দাবি। খবর পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ পৌঁছয়। কিন্তু তার আগেই হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলে দাবি এলাকার লোকজনের।
দুর্গাপুরের বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, লোকসভা ভোটে দুর্গাপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিজেপি বেশি ভোট পেয়েছে। ওই ওয়ার্ডেও ভোট বেশি পাওয়ার পরেই তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের নানা ভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। বুধবার রাতেও তাঁদের কর্মীদের মারধর করা হয় বলে তাঁর অভিযোগ।
যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে কাউন্সিলর রাজীববাবু দাবি করেন, পাড়ার লোকজনের মধ্যে কোনও গণ্ডগোল হয়েছে। সেটি নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমার গাড়ির চালককে ওই এলাকার এক যুবক গালিগালাজ করে। সেই কারণেই আমি সেখানে গিয়েছিলাম।’’