জখম মনসা মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
এক বিজেপি নেত্রীর বাড়িতে পরপর হামলার অভিযোগ উঠেছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের অমরপুরে। কয়েকজনের নামে অভিযোগও করেছেন বিজেপির ৫২ নম্বর মণ্ডল সহ-সভাপতি শর্মিলা দাস। অভিযুক্তেরা তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত এলাকায়। যদিও তৃণমূল অভিযোগ মানেনি।
শর্মিলাদেবীর অভিযোগ, রবিবার রাত ১২টা নাগাদ আচমকা এক দল লোক হামলা চালায় তাঁর বাড়িতে। ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি করা হয়। শর্মিলাদেবী এবং তাঁর পরিবারের লোকজনকে প্রাণে মারার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাত ২টো পর্যন্ত তাণ্ডব চলে। ওই নেত্রীর দাবি, বাড়ি লাগোয়া তাঁর দেওরের বাড়ির জানালার কাচ, জলের পাইপ ভেঙে গিয়েছে। রাতেই পুলিশকে বিষয়টি জানান তাঁরা। পুলিশ এলাকায় যায়। সোমবার ছোড়া ফাঁড়িতে বাচ্চু বাগদি, মিলন বাগদি, উত্তম বাগদি, নিলু বাগদি-সহ কয়েকজনের নামে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
শর্মিলাদেবীর দাবি, মাসখানেক আগে অমরপুর পঞ্চায়েতে ত্রিপলের জন্য আবেদন করেছিলেন এলাকার দুই মহিলা। কিন্তু বিজেপি সমর্থক হওয়ায় তাঁদের আবেদনপত্রে স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সই করেনি। ওই ঘটনার প্রতিবাদ করার পর থেকেই তৃণমূল-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে হামলা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। এমনকি, সোমবার সকালে অভিযোগ করার পরে দুপুরে ফের হামলা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর জা মনসা মণ্ডলকে মারধর করা হয়। স্বামী বাসুদেব দাস বাধা দিলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মনসাদেবীর মাথা ফেটে যায়। তাঁকে বননবগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
বিজেপির ওই এলাকার মণ্ডল সভাপতি নিতাই বিশ্বাসের দাবি, ‘‘শর্মিলাদেবী ওই এলাকায় সংগঠনের মূল দায়িত্বে রয়েছেন। ওঁর নেতৃত্বে এলাকায় সংগঠন ধীরে ধীরে জোরদার হচ্ছে। ওঁকে বসিয়ে দেওয়ার জন্যই বারবার আক্রমণ করছে তৃণমূল। এটা কখনও মেনে নেওয়া হবে না। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে দলীয় ভাবে প্রতিবাদ জানানো হবে।” যদিও তৃণমূলের অমরপুর অঞ্চল সভাপতি গোলাম মোল্লার দাবি, “এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পারিবারিক ঘটনাকে রাজনৈতিক বলে চালানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।’’ পুলিশের দাবি, তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কেউ গ্রেফতার হননি।