সিপিএম নেতা বীরেন্দ্রনাথ বসুমল্লিক
প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের মামলায় এ বার সিপিএম যোগ! বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার জন্য যে ২৬৯ জন শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট, তাঁদের মধ্যে পূর্ব বর্ধমানেরই ১৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁদেরই এক জন হলেন স্থানীয় সিপিএম নেতা বীরেন্দ্রনাথ বসুমল্লিকের মেয়ে বৈশাখী বসুমল্লিক। কোপে পড়া শিক্ষকদের তালিকা জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের হাতে আসার পরেই বৈশাখীর নাম নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বীরেন্দ্রনাথ।
গত ১৩ জুন চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া ওই ১৭ জন শিক্ষকের তালিকা পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে পাঠানো হয়েছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দফতর থেকে। ওই তালিকার দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে বৈশাখীর নাম। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে কালনার ধাপাসপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন তিনি । পরীক্ষায় তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৩৩.৬৪৯। এর পরেই বৈশাখী কী ভাবে চাকরি পেলেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনীতিতে। তবে এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি কালনার সিপিএম নেতা বীরেন্দ্রনাথ।
বাম আমলে দীর্ঘ দিন কালনা পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলর ছিলেন বীরেন্দ্রনাথ। পাশাপাশিই, প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ-র জেলার নেতাও ছিলেন তিনি। বীরেন্দ্রনাথের মেয়ের নাম বরখাস্তদের তালিকায় থাকা নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মধুসূদন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনেই কাজ হচ্ছে।’’ পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র দেবু টুডু বলেন, ‘‘সিপিএম নেতার মেয়ের চাকরি কী করে হল, বলতে পারব না। তবে সিপিএমও যে জড়িত, তার প্রমাণ পাওয়া গেল।’’
পূর্ব বর্ধমানে বরখাস্তদের তালিকায় নাম রয়েছে অমৃতা ঘোষ, প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য, নির্মাল্য পাল, সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়, অপূর্ব মাইতি, মিঠু রায়, রুণু দাঁ, মধুরিমা মজুমদার, শুভাশিস ঘোষ, সুদীপ পালিত, পাপিয়া রায়, অভিজিৎ দত্ত, প্রবীর বিশ্বাস, মহম্মদ শামিম, পিন্টু মাইতি ও মিরশাদ আলির।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আগেই চাকরি গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। ঘটনাচক্রে, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে বামফ্রন্টের শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লকে ছিলেন পরেশ।