সিউড়ি সদর হাসপাতালে তখনও বেঁচে ধনা হাঁসদা। নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের মহম্মদবাজারের হাবরাপাহাড়ি গ্রামে গুলিচালনার ঘটনায় পাথরখাদানকর্মী ধানু শেখের মৃত্যু হয়েছিল ঘটনাস্থলেই। ওই ঘটনায় গুলিতে জখম প্রাথমিক শিক্ষক ধনা হাঁসদা(৩৫)-রও মৃত্যু হল। বীরভূমের স্থানীয় ডোলকাটা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকতা করতেন ধনা।
সোমবার রাত ১১টা নাগাদ মহম্মদবাজার ব্লকের হাবরাপাহাড়ি গ্রামে একটি ক্লাবে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন ধানু শেখ এবং ধনা হাঁসদা। ওই সময় এক ব্যক্তি সাইকেলে করে ক্লাবের সামনে এসে দাঁড়িয়ে খুব কাছ থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি চালান। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ধানু। আহত হন ধনা। চিকিৎসার জন্য ধনাকে প্রথমে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সকালে তাঁকে ভর্তি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ধনার পেটে গুলি লেগেছিল। সেই গুলি বার করা গেলেও তার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল। চিকিৎসেকরা মঙ্গলবার দুপুরেও তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে অস্ত্রোপচার চলাকালীনই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কী উদ্দেশ্যে গুলি চালানো হয়েছিল তারও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান, দুষ্কৃতী দু’জনেরই পূর্বপরিচিত। পারিবারিক বিবাদ বা ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে গুলি চালানো হয়েছে কি না, সেই দিকটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।