দলবদল। নিজস্ব চিত্র
দিন চারেক আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ‘ঘর ওয়াপসি’। সোমবার সন্ধ্যায় পুনরায় তৃণমূলে ফিরলেন সিউড়ির কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের কানাইপুর গ্রামের কয়েক জন বাসিন্দা। যা নিয়ে ভয় দেখানো অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
গত বৃহস্পতিবার কানাইপুরের আকাশ খানের নেতৃত্বে প্রায় ৫০টি সংখ্যালঘু পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। সে দিন বিজেপি নেতাদের দাবি ছিল, বগটুই, বাঁশজোড় কাণ্ডের পরে জেলার সংখ্যালঘুরা ভুল বুঝতে পেরেছেন এবং বিজেপিতে আসছেন।
কিন্তু সপ্তাহ না ঘুরতেই সেই সমস্ত কর্মীরাই তৃণমূলে ফিরলেন। যদিও তৃণমূলের দাবি, কেবল ওই ৫০টি পরিবার নয়, ওই এলাকার আরও ৫০টি পরিবার তৃণমূলে যোগদান করেন। তাঁদের ভুল বুঝিয়ে বিজেপি দলে টেনেছিল। পরে ভুল বুঝতে পেরে তৃণমূলে ফিরেছেন। তৃণমূলের কড়িধ্যা অঞ্চলের সভাপতি দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপির পক্ষ থেকে ওঁদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ভুল বুঝতে পেরে ওঁরা স্বেচ্ছায় আমাদের দলে ফিরে এসেছেন।’’
আকাশ বলেন, ‘‘আমাকে পদের লোভ দেখিয়ে দলে নিয়ে গিয়েছিল। ভুল বুঝতে পেরে আবার তৃণমূলে ফিরেছি।’’ এ নিয়ে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘দশ দিন ধরে নিজে থেকে কার্যালয়ে আসছিল। তার পের যোগদান করানো হয়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কড়িধ্যার ঘটনা, সিউড়ি ২-এর গোবরার ঘটনায় স্পষ্ট যে তৃণমূল আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে কর্মীদের দলে টানছে।’’ অন্য দিকে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপিই জায়গায় জায়গায় সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। যাঁদের ভুল বুঝিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, তাঁরা নিজেরাই ভুল বুঝে ফিরে এসেছেন। এটা কেবল এই জেলায় নয়৷ সারা বাংলায় এই ঘটনা ঘটছে।’’