সুদীপ্ত রায়। — নিজস্ব চিত্র।
আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে হুমকি চিঠি দেওয়ার ঘটনায় ধৃত বর্ধমান আদালতের আইনজীবী সুদীপ্ত রায়কে ১০ দিনের জন্য পাঠানো হল পুলিশ হেফাজতে। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন আসানসোল আদালতের বিচারক। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে আসানসোল আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন সুদীপ্ত। সেই খবর পেয়েই আদালত চত্বরে গিয়ে সুদীপ্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তঁকে আদালতে তোলা হয়েছিল। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ তাঁকে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার আবেদন করে। সুদীপ্তর পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না। আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে। সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকি চিঠি পাঠানোর ঘটনায় অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কি না তা জানতে অভিযুক্তকে জেরা করছে পুলিশ।
গরু পাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন না দিলে তাঁর পরিবারকে ‘গাঁজা কেসে’ ফাঁসানো হবে, এই মর্মে হুমকি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক। সেই চিঠির প্রেরক হিসাবে পূর্ব বর্ধমানের এগজিকিউটিভ আদালতের আপার-ডিভিশন ক্লার্ক (ইউডিসি) বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নাম এবং সই ছিল। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সুদীপ্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, সুদীপ্তের কাছ থেকে বাপ্পার নামে একটি আধার কার্ড মিলেছে। যেটি নকল।
বাপ্পা প্রথম থেকেই দাবি করছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। হুমকি চিঠির তদন্তে গত বৃহস্পতিবার বাপ্পাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের দুই কর্তা। জিজ্ঞাসাবাদের পর বাপ্পা দাবি করেন, সুদীপ্ত রায় নামে বর্ধমান আদালতের এক আইনজীবী দিন দুয়েক আগে তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন আদালত চত্বরে। বাপ্পার দাবি, তাঁকে বলা হয়েছিল , ‘‘তোর যা ব্যবস্থা করার হয়ে গিয়েছে। এ বার তোর চাকরি খাব।’’ বাপ্পা গোটা বিষয়টি বর্ধমান উত্তরের মহকুমাশাসককে জানান। হুমকি চিঠির পিছনে সুদীপ্তের হাত রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এর পর বাপ্পার গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়।