বাসে এয়ারপোর্টের পথে ঝাড়খণ্ডের শাসক জোটের বিধায়কেরা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
সরকার বাঁচাতে বিধায়কদের এ বার ভিন্ রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ঝাড়খণ্ডের জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট। কংগ্রেসের তরফে সোমবার রাতেই একটি বেসরকারি উড়ান সংস্থার বিমানের সবগুলি আসন সংরক্ষণ করা হয়েছিল। মঙ্গলবার বিকেলে তাতে চড়েই পাশের রাজ্য ছত্তীসগঢ়ের রাজধানী রায়পুরে পাড়ি দিলেন তাঁরা।
এখনও রাজভবনে খামবন্দি হয়ে রয়েছে জেএমএম প্রধান হেমন্ত সোরেনের মুখ্যমন্ত্রিত্বের মেয়াদ। বিজেপির দাবি, খনি লিজ মামলায় সোরেনকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের সিদ্ধান্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ ব্যাসকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। খনি লিজ দেওয়া মামলায় নিজের পদের অপব্যবহার করার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপিই।
এই পরিস্থিতিতে শাসক জোটে ভাঙনের সম্ভাবনা ক্রমশ প্রবল হচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন। তাঁদের মতে এই পরিস্থিতি সাময়িক ভাবে সামাল দিতেই বিধায়কদের কংগ্রেস-শাসিত ছত্তীসগঢ়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হেমন্ত শিবির। মঙ্গলবার দুপুরে রাঁচীতে শাসক জোটের বিধায়কদের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানেই বিধায়কদের রায়পুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। এর আগে বিধায়কদের একজোট রাখতে শনিবার রাঁচী থেকে খুঁটী জেলার লতরাতু বাঁধে চড়ুইভাতি করতে গিয়েছিলেন হেমন্ত। কিন্তু তাতে যে ‘ফল’ মেলেনি তা এ দিনের পদক্ষেপে স্পষ্ট হল বলেই মনে করা হচ্ছে।