শত্রুঘ্ন সিন্হার নামে নিখোঁজ পোস্টার। — নিজস্ব চিত্র।
সামনেই ছটপুজো। কিন্তু এই সময় ‘বিহারিবাবু’ কোথায়? এই মর্মেই পোস্টার পড়ল আসানসোলের তৃণমূর সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হার নামে। নিখোঁজ পোস্টারে ছয়লাপ কুলটি এলাকা। ওই পোস্টার প্রকাশ্যে আসার পরেই তৃণমূল সাংসদকে নিয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধী দল বিজেপি। যদিও শাসকদলের বক্তব্য, অহেতুক বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। ছটপুজোতে শত্রুঘ্ন আসানসোলেই থাকবেন বলে জানান তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাসু। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও বলেন, ‘‘সাংসদের দফতর থেকে সমস্ত পরিষেবাই পাচ্ছেন সাধারণ মানুষেরা। কে বা কারা ওই পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছে!’’
বৃহস্পতিবার সকালে শত্রুঘ্ন নিখোঁজের পোস্টার এলাকাবাসীর নজরে আসে। পোস্টারে লেখা, ‘‘মাননীয় সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হাজি বিহারিবাবু নামে পরিচিত। কিন্তু বিহারিদের সব থেকে বড় ছটপুজোর সময় উনি নিজের লোকসভা কেন্দ্রে নেই।’’ পোস্টারেই উল্লেখ করা হয়েছে, আসানসোলের ‘বিহারি’ জনতাই এই পোস্টার সাঁটিয়েছেন। এই নিয়ে শোরগোল পড়তেই স্থানীয় বিজেপি নেতা অমিত গড়াই বলেন, ‘‘উনি তো বিহারিবাবু বলে পরিচিত। অথচ, ছটপুজোয় তিনি নিজের এলাকায় নেই।’’
এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কাউন্সিলর সেলিম আনসারি। তিনি বলেন, ‘‘এই সব পাগল বিজেপির কাজ। উনি (শত্রুঘ্ন) তো মাসে মাসেই আসানসোলে আসেন।’’ এ বছর ছটপুজোর আগেই শত্রুঘ্ন আসানসোলে চলে আসবেন বলে জানান শিবদাসন। তিনি বলেন, ‘‘উনি ২৯ তারিখে আসছেন। প্রত্যেক মাসে তো দু’বার করে এমনিই আসেন। দুর্গাপুজোতেও ছিলেন। এটা নিয়ে রাজনীতি করা ঠিক নয়।’’ এ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, ‘‘এমন তো নয় যে, সাংসদের পরিষেবা কেউ পাচ্ছেন না! সবই তো পাওয়া যাচ্ছে। দফতর থেকে সব পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। যেখানে যেখানে সাংসদের সশরীরে যাওয়া দরকার, সেখানে সশরীরেই যান সাংসদ। তা হলে নিখোঁজ বলার মানে কী! পরিষেবা না পেলে অন্য কথা ছিল। সকলেই তো পরিষেবা পাচ্ছেন।’’