দিন দুয়েক আগেই তাঁর নামে নিখোঁজ পোস্টারে ছয়লাপ হয়েছিল আসানসোল। ছটপুজোয় কেন নিজের লোকসভা কেন্দ্রে থাকবেন না ‘বিহারিবাবু’, এই প্রশ্ন তুলে পোস্টার সাঁটানো হয়েছিল কুলটি এলাকায়। তা নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষের আবহে ছটপুজোর আগেই আসানসোলে এসে হাজির হলেন তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হা। অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়টিকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কোনও দরকার নেই। এগুলো ছোট ব্যাপার। জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্যই এ সব করা হচ্ছে।’’
শনিবার সন্ধ্যায় অন্ডালের কাজি নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে নামেন শত্রুঘ্ন। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোয় ছিলাম, ছটপুজোয় থাকব না! আমার তো আসার কথাই ছিল। সাত-আট দিন আগে এখান থেকে গিয়েছিলাম। এর আগে পটনায় যেতাম ছটপুজোর সময়। এই বছর এখানে আসারই পরিকল্পনা ছিল আমার।’’
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিংহের বাড়িতে যান সাংসদ শত্রুঘ্ন। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। পরে পাণ্ডবেশ্বরের বহুলা অঞ্চলের তিনটি ছট ঘাটও ঘুরে দেখেন শত্রুঘ্ন। তিনি যে ছটপুজোর আগেই আসানসোলে চলে আসবেন, তা আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাসু। তিনি বলেছিলেন, ‘‘উনি ২৯ তারিখে আসছেন। প্রত্যেক মাসে তো দু’বার করে এমনিই আসেন। দুর্গাপুজোতেও ছিলেন। পোস্টার সাঁটিয়ে রাজনীতি করা ঠিক হচ্ছে না।’’