প্রতীকী ছবি
জুলাইয়ে মিড-ডে মিলে চাল, আলুর পাশাপাশি, ডাল ও ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’ দেওয়ার কথা জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। অণ্ডাল ও পাণ্ডবেশ্বর ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, ডাল ও ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’ ব্লক থেকে স্কুলে পাঠানো হবে। আলু কিনতে হবে স্কুলগুলিকে। এই পরিস্থিতিতে ‘তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি’ জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত জানিয়েছে, হয় সব সামগ্রী স্কুলগুলিতে সরবরাহ করুক ব্লক প্রশাসন। তা না হলে স্কুলগুলিকেই যাবতীয় দায়িত্ব দেওয়া হোক।
স্কুলগুলিতে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, সাধারণত, স্কুলগুলিতে বরাবরই প্রশাসন চাল দেয়। আলু স্থানীয় ভাবে কেনে স্কুল। এ বার ডাল ও ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’ যোগ হয়েছে। দু’কেজি আলুর জন্য ৪৪ টাকা, ২৫০ গ্রাম ডালের জন্য ২৩ টাকা ও ৫০ মিলিলিটার ‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার’-এর জন্য ২২ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। ব্লক অফিস থেকে বিডিও-র নেতৃত্বে মিড-ডে মিলের সব ব্যবস্থাপনা করা হয়।
আলু এ বারও স্থানীয় ভাবে কিনতে হবে স্কুলকেই, ব্লক প্রশাসনের এমন নির্দেশিকাতেই আপত্তি জানিয়েছে ‘তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি’। সংগঠনের জেলা সভাপতি রাজীব মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ও ডাল ব্লক অফিস থেকে দেওয়া হলে আলু দেওয়ার ব্যবস্থাও তাঁরাই করুন।’’ কেন এমন দাবি? রাজীববাবুর দাবি, ‘‘আলুর যা দাম বরাদ্দ করা হয়েছে সে তুলনায় বাজারে আলুর দাম বেশি। স্কুল নিজেরা সব কিছু কেনার সুযোগ পেলে ‘ব্যালেন্স’ করে কিনতে পারত। এ ক্ষেত্রে স্কুলের তহবিল থেকে আলু কেনার জন্য অর্থ জুড়তে হবে।’’ বাম প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন ‘নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি’র (এবিটিএ) জেলা সম্পাদক অমিতদ্যুতি ঘোষও বলেন, ‘‘সব স্কুলের জন্যই সরকারের সুনির্দিষ্ট ‘গাইডলাইন’ থাকা উচিত। তাহলে যে কোনও কাজই সুষ্ঠু ভাবে করা সম্ভব হয়।’’
অণ্ডাল ও পাণ্ডবেশ্বরে পাইকারি বাজারে জ্যোতি ও চন্দ্রমুখী আলুর ৫০ কেজির বস্তার দাম যথাক্রমে ১,০৯০টাকা ও ১,৩০০ টাকা। খোলা বাজারে দু’ধরনের কেজি প্রতি দর যথাক্রমে ২৫ ও ৩০ টাকা।
যদিও, বিষয়টি নিয়ে বিডিও (অণ্ডাল) ঋত্বিক হাজরা বলেন, ‘‘ব্লকের স্কুলগুলির সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ বিডিও (পাণ্ডবেশ্বর) কৌশিক সমাদ্দার অবশ্য বলেন, ‘‘স্কুল না পারলে আমরা আলুও কিনে দেব।’’ তবে অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘আলু কিনে পাঠানো সম্ভব নয়। কারণ, আলু পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিডিও-র মাধ্যমেই মিড-ডে মিলের অর্থ বরাদ্দ হয়। মিড-ডে মিলের কাজকর্ম দেখভাল করেন বিডিও-রা। স্কুলগুলির সঙ্গে কথা বলে মিড-ডে মিল কী করে সুষ্ঠু ভাবে চালানো যাবে, তা ঠিক করেন বিডিওরা।’’