সহগল হোসেন। — ফাইল চিত্র।
তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনকে আবার জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন বিচারক। বৃহস্পতিবার অনুব্রত যখন আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বিধাননগর বিশেষ আদালতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন, তখন সহগলকে তোলা হয়েছিল আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। বিচারক তাঁকে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয় সহগলকে। তাঁকে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। দিনকর ব্যাস নামে আসানসোল আদালতের এক আইনজীবীর মৃত্যু হওয়ায় বৃহস্পতিবার শোক দিবস পালন করা হয়। সে কারণে সহগলের আইনজীবী শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন। ঘটনাচক্রে বৃহস্পতিবারই সিবিআইয়ের তরফে গরু পাচার মামলার বেশ কিছু নথি দেওয়া হয় বিচারককে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ওই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
অনুব্রতকে গ্রেফতারের সময় তাঁর দু’টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। সেই মোবাইল দু’টি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল তদন্তকারী সংস্থার তরফে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল। তবে আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় সেই মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার হয়নি।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগলের নামে বিপুল সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। আসানসোল সংশোধনাগারে অনুব্রতের সঙ্গেই রয়েছেন সহগল। দিন কয়েক আগে কেষ্ট এবং সহগলকে জেরা করতে সংশোধনাগারে যান সিবিআই আধিকারিকরা। দু’জনকেই ১৫টি করে প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু দু’জনের কেউই সিবিআই আধিকারিকদের সেই প্রশ্নের উত্তর দেননি বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে তলবে বৃহস্পতিবার সকালে আসানসোল থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন অনুব্রত। সকাল ১১টা নাগাদ তাঁকে নিয়ে আদালতে পৌঁছন পুলিশকর্মীরা। রাজ্যের ক্ষমতায় বামফ্রন্ট থাকাকালীন ২০১০ সালে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানা এলাকার একটি বিস্ফোরণের ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় অনুব্রতকে বৃহস্পতিবার বিধাননগরের এমপি-এমএলএ আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১০-এ মঙ্গলকোট থানায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। ১২ বছর পর সেই মামলায় তলব করা হয়েছে অনুব্রতকে।