মন্ত্রিসভায় সর্বশেষ রদবদলের পর মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি কারও জন্য বরাদ্দ হয়নি।
এত দিন রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের আসনটি ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু সেপ্টেম্বরের স্বল্পকালীন অধিবেশন ওই আসনে কাউকে বসতে দেওয়া হবে না। মন্ত্রিসভায় সর্বশেষ রদবদলের পর বিধানসভায় বিধায়কদের বসার ব্যবস্থা নতুন করে সাজানো হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি কারও জন্য বরাদ্দ হয়নি।
প্রসঙ্গত, প্রথমে শোনা গিয়েছিল ওই আসনটি দেওয়া হতে পারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পর্যন্ত আসনটি কাউকে দেওয়া হয়নি। ভবিষ্যতে কাউকে দেওয়া হবে কি না, তা-ও এখনও স্পষ্ট নয়। বিধানসভার একটি সূত্র জানাচ্ছে, পরিষদীয় মন্ত্রী হিসেবে পার্থ মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি পেতেন। পার্থকে সমস্ত মন্ত্রিত্ব থেকেই ছেঁটে ফেলা হয়েছে। তাঁর পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাই মনে করা হয়েছিল তিনি পেতে পারেন ওই আসনটি। কিন্তু বিধানসভা সূত্রের খবর, ফিরহাদ বা শোভনদেব কাউকেই ওই আসনটি দেওয়া হচ্ছে না।
আগামী দিনে আসনটি কাউকে দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এই স্বল্পকালীন অধিবেশনে ওই আসনে যে কাউকে বসতে দেওয়া হবে না, সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বিধানসভার এক আধিকারিকের কথায়, রাজ্য বিধানসভায় তিন জনের পাশের আসন সাধারণত কাউকে দেওয়া হয় না। তাঁরা হলেন মুখ্যমন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার ও মুখ্য সচেতক। তাই মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি খালিই থাকত। তাঁর পাশের আসনে বসতেন পার্থ। তাই কোনও ভাবেই বলা যায় না যে, মুখ্যমন্ত্রীর একেবারে পাশের আসনটিই খালি রাখা হচ্ছে। তবে এটা বলা যায় মুখ্যমন্ত্রীর ব্লকে আর অন্য কোনও মন্ত্রী বসবেন না।