গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুনের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
আবার রাজনৈতিক অশান্তির বলি পূর্ব বর্ধমানের কালনায়। হরিনাম সংকীর্তনের জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে এক তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। কালনা থানার বৈদ্যপুর আটগাছিয়ার বুড়ো শিবতলা এলাকায়। মৃতের নাম দয়াল হাজরা। অভিযুক্তের নাম কৃষ্ণচন্দ্র হাতি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ওই এলাকায়।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ বুড়ো শিবতলায় হরিনাম কীর্তন হবে বলে খোল বাজিয়ে এলাকাবাসীকে ডাকেন কৃষ্ণচন্দ্র। এলাকায় তিনি বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। দয়াল বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। অভিযোগ, এর পর বিড়ি খাওয়ানোর নাম করে দয়ালকে একটি অন্ধকার জায়গায় নিয়ে যান কৃষ্ণচন্দ্র এবং তাঁর সঙ্গীরা। সেখানে ওই তৃণমূল কর্মীর গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
অন্য দিকে, দয়ালের আর্তনাদ শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা অকুস্থলে ছুটে গেলে অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করেন। যদিও তাঁদের ধরে একটি খুঁটিতে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পাশাপাশি, দয়ালকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
এ নিয়ে কালনা ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি প্রণব রায় বলেন, ‘‘বিজেপি গোটা রাজ্যকে অশান্ত করার প্রয়াস চালাচ্ছে। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার প্রতিবাদে ২৭ জুলাই স্থানীয় শিরীষতলায় একটি পথসভা থেকে বিজেপির নেতারা উত্তেজক বক্তৃতা করেন। এমনকি, সভা মঞ্চ থেকে তৃণমূল কর্মীদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এর পরই বৃহস্পতিবারের এই খুনের ঘটনা।’’
এই খুনের ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। অভিযুক্ত কৃষ্ণচন্দ্রের সঙ্গেও বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করা হয়েছে। বিজেপির স্থানীয় মণ্ডল সভাপতির দাবি, ওই এলাকায় তাদের সংগঠন তেমন মজবুত নয়। এমনকি, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাদের দলের বুথ সভাপতি বিকাশ রানাও তৃণমূলেও যোগ দেন। বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘এই খুনের অভিযোগ এনে বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’