—ফাইল চিত্র।
করোনা-‘গুজবে’র জেরে ‘জন-তাণ্ডবে’ আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশ। পা ভেঙেছিল জামুড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত ঘোষের। তিনি এখনও চিকিৎসাধীন। চুরুলিয়ার ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে শনিবার দেখা করেছেন জেলার বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রম ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, এমনই দাবি, বিরোধীদের। কী উদ্দেশ্য নিয়ে ওই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেছিলেন মন্ত্রী, সে প্রশ্নও তোলেন তাঁরা। তবে মলয়বাবু বলেন, ‘‘আমি কারও বাড়িতে যাইনি। আমার সঙ্গে অনেকেই দেখা করেছেন। তাঁদের মধ্যে কার, কী পরিচয়, তা আমার জানা নেই। বিরোধীদের অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’’
সিপিএম নেতা মনোজ দত্ত ও বিজেপি নেতা সন্তোষ সিংহেরা দাবি করেন, ‘‘মলয়বাবু, তৃণমূল নেতা অলোক দাস, অনিমেষ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন এ দিন চুরুলিয়ায় গিয়ে পুলিশকে মারধরে সাত জন অভিযুক্তের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁদের বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলেন।’’ বিরোধী নেতাদের সংযোজন: ‘‘পুলিশ মন্ত্রী চলে যাওয়ার পরে অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু মন্ত্রী কেন সেখানে গেলেন, দেখা করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।’’ যদিও অভিযুক্তদের পরিবারের কেউ এই সাক্ষাৎ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
তবে তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, চুরুলিয়ায় পুলিশের তল্লাশির জেরে পাঁচটি পাড়া কার্যত জনশূন্য। এ দিন তাই গ্রামবাসীর সঙ্গে দেখা করে মন্ত্রীর তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে—যাঁরা অভিযুক্ত বা দোষী নন, তাঁদের আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। নির্দোষদের বাড়ির বাইরে থাকার দরকার নেই। পুলিশ জানায়, হামলার অভিযোগে এ পর্যন্ত ৪৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে আট জনকে।
এ দিকে, আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেট সূত্রে জানা যায়, ‘আক্রান্ত’ ওসি সুব্রতবাবু এই মুহূর্তে রানিগঞ্জের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। পুলিশ কমিশনার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “আমি ওসি-কে দেখতে গিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী আমার ফোন থেকেই ওসি-র সঙ্গে কথা বলে আরোগ্য কামনা করেন। তাঁর চিকিৎসার তদারকির জন্যও আমাকে নির্দেশ দেন।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, সুব্রতবাবুর সঙ্গে প্রায় তিন মিনিট কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্বাস্থ্যের বিষয়ে খুঁটিনাটি জানতে চান।
সুব্রতবাবুর সঙ্গে এ দিন দেখা করেন মন্ত্রী মলয়বাবুও। পাশাপাশি, তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘জেলা পর্যবেক্ষকের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী ওসি-র জন্য ফল পাঠিয়ে ছিলেন। এ দিন পর্যবেক্ষক ও আমি তা
পৌঁছে দিয়েছি।’’