এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের পর থেকে চার দিকে প্রতিবাদের ঝ়ড় উঠছে। ধর্ষণ বিরোধী কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি উঠছে। এ সবের মধ্যেই বুধবার এক ভিন্ন চিত্র ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমানে। ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষকের মুক্তিতে সরব হলেন পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের একাংশ। অভিযুক্ত এক কোচিং সেন্টারে অঙ্কের শিক্ষক। বুধবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়েছিল তাঁকে। আদালত থেকে বার করে যখন পুলিশের গাড়িতে তোলা হচ্ছিল শিক্ষককে, বাইরে পড়ুয়া ও অভিভাবকদের একাংশ ভিড় করেছিলেন। শিক্ষককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে বলেও দাবি করল পড়ুয়াদের কেউ কেউ।
ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। বছর ষোলোর ওই ছাত্রীকে একাধিক বার নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে শিক্ষক ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। প্রথমে মে মাসে, পরে অগস্ট মাসেও একই ঘটনা ঘটেছিল বলে অভিযোগ পরিবারের। সোমবার অভিযুক্তকে বর্ধমান পকসো আদালতে পেশ করা হয়েছিল। সকাল থেকেই আদালত চত্বরে পড়ুয়াদের ইতিউতি ভিড় জমতে শুরু করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বৃদ্ধি পায়। পড়ুয়াদের সঙ্গে শামিল হন অভিভাবকদের একাংশও। অভিযুক্ত শিক্ষকের সমর্থনে স্লোগানও ওঠে ভিড়ের মধ্যে থেকে। তাঁর মুক্তির দাবি ওঠে। ধর্ষণে অভিযুক্তের সমর্থনে এ ধরনের দৃশ্য সচরাচর দেখা যায় না।
বুধবার পকসো আদালতে অভিযুক্তকে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানায় পুলিশ। বিচারক বর্ষা বনশল অভিযুক্তের দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃত শিক্ষকের আইনজীবী পার্থ হাটি জানান, বুধবার তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। ১২ নভেম্বর জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। অভিযোগকারীকে ওই দিন আদালতে হাজির থাকার জন্য নোটিস পাঠিয়েছে আদালত। অভিযোগকারীর উপস্থিতিতেই জামিনের আবেদনের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে আদালত।