Durgapur

জ্যোতি ও চন্দ্রমুখীর দর নিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতার

বাজারের চাহিদার সঙ্গে জোগানের ফারাক বেড়ে যাওয়াতেই আলুর দরের এই হাল বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২০ ০২:০৪
Share:

এখানেই লুটপাট। নিজস্ব চিত্র

রাজ্য সরকার আলুর দর নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু তার পরেও দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারে দিন-দিন আলুর দর চড়ছে, অভিযোগ ক্রেতাদের বড় অংশের। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত অভিযানে নামুক প্রশাসন, এমনটাই চাইছেন ক্রেতারা।

Advertisement

দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারে শুক্রবার গিয়ে দেখা গিয়েছে, জ্যোতি ও চন্দ্রমুখী আলু কেজি প্রতি যথাক্রমে ৩০ ও ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ, ক্রেতারা জানান, কিছু দিন আগেও ওই ধরনের আলু টানা যথাক্রমে ২৫ ও ৩০ টাকায় কিনেছেন। বেনাচিতি বাজারের ক্রেতা গোপাল দেবনাথ, পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়েরা বলেন, ‘‘আলু প্রায় সবার সাধারণ খাদ্যতালিকায় পড়ে। ঘরে চাল আর আলু থাকলে অনেকের দিন কেটে যায়। সেখানে আলুর দাম এত বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন।’’ তবে, আলু বিক্রেতা ভজন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা দাম বাড়াই না। আমরা বেশি দামে কিনছি। তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। কম দামে পেলে ক্রেতাদের কম দামে বিক্রি করব।’’

কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলুর একাধিক পাইকারি ব্যবসায়ী জানান, এমনিতেই গত বছর আলুর উৎপাদন অন্য বছরের তুলনায় কম হয়েছে সব জায়গায়। তা ছাড়া, এ রাজ্যের আলু চলে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে। ব্যবসায়ীদের একাংশ ভবিষ্যতে লাভের কথা ভেবে বেশি পরিমাণে আলু হিমঘরে মজুত করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে বাজারের চাহিদার সঙ্গে জোগানের ফারাক বেড়ে যাওয়াতেই আলুর দরের এই হাল বলে দাবি তাঁদের।

Advertisement

সম্প্রতি দুর্গাপুর বাজারে ক্রেতা সেজে বিক্রেতাদের কাছ থেকে আলুর দাম জেনে নেন ৪ নম্বর বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই তিনি প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার আর্জি জানান। তিনি বলেন, ‘‘আলুর লাগামছাড়া দামে চরম অসুবিধায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্য সরকার আলুর দাম বেঁধে দিয়েছে। কিন্তু বাজারে দাম কমছে না।’’ মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘‘আলুর বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement