আবাসনের ঘর থেকে উদ্ধার দুই শ্রমিকের দেহ। ছবি: সংগৃহীত।
কারখানার মধ্যে আবাসন। সেই আবাসন থেকে দুই শ্রমিকের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল দুর্গাপুরে। জানা গিয়েছে, দুই শ্রমিকই ভিন্রাজ্য থেকে এসে কাজ করছিলেন ওই কারখানায়। তবে কয়েক দিন ধরে কারখানাটি বন্ধ হয়ে পড়েছিল। সেই বন্ধ কারখানার আবাসন থেকে শ্রমিকদের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের কাঁকসার বামুনারা শিল্পতালুকের একটি বন্ধ কারখানা থেকেই জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে কাঁকসা থানার পুলিশ। ত্রিভুবন ঠাকুর এবং জ্ঞানী বর্মা— দুই শ্রমিক উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। থাকতেন কারখানার আবাসনেই। শুধু তাঁরা নন, এমন আরও শ্রমিকই ওই আবাসনে থাকতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে আবাসনের অন্য শ্রমিক ত্রিভুবনদের ঘরে গিয়ে তাঁদের ডাকাডাকি করেন। কিন্তু সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে তিনি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করেন। দেখেন দু’জনে বিছানার উপর পড়ে আছেন।
খবর দেওয়া হয় কাঁকসা থানায়। পুলিশ এসে দেহ দু’টি উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। কী ভাবে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই শ্রমিকের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। খবর পেয়ে ওই কারখানায় কর্মরত অন্য শ্রমিকেরাও ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁদের অনুমান, ত্রিভুবনেরা ঘরের মধ্যেই রান্না করতেন। কয়লার সেই উনুনের ধোঁয়া থেকে মৃত্যু হতে পারে।