বরকে তোলা নিয়ে যাওয়া হল থানায়। নিজস্ব চিত্র।
ধুতি-পাঞ্জাবি পরে ছাদনাতলায় হাজির হয়েছিলেন বর। আমন্ত্রিতরা সবাই উপস্থিত। আচমকা ‘অনাহূত’ পুলিশ ঢুকল বিয়েবাড়িতে। তার পর বিবাহ-বিভ্রাট। বিয়ে করতে এসে ছাদনাতলায় থেকে শ্রীঘরে ঠাঁই হল বরের। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের শক্তিগড় থানার বড়শুল এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম বিশ্বনাথ বিশ্বাস। শক্তিগড় থানারই বড়শুলের কুমিরখোলার বাসিন্দা তিনি।
শুক্রবার বর্ধমান থানার পুলিশ বরের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতে পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বর্ধমান-২ নম্বর ব্লকের নাদুর এলাকার একটি কালীমন্দিরে পৌঁছয় পুলিশ। তত ক্ষণে বিয়ের মণ্ডপে এসে হাজির হয়েছেন বর। সেখান থেকেই তাঁকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।
পুলিশ খবর পায়, এক নাবালিকার বিয়ের তোড়জোড় চলছে এলাকায়। কনের বয়স মাত্র ১৭ বছর। তারই বিয়ে দিচ্ছিল পরিবার। এর পর বিয়ের রাতেই ছাদনাতলায় উপস্থিত হয় পুলিশ। নাবালিকাকে বিয়ে করতে চাওয়ার অভিযোগে বরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি, নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করে পূর্ব বর্ধমান চাইল্ড লাইন ও বর্ধমান থানার পুলিশ। তাকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তার পর বরকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান জেলা আদালতে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিয়েতে মত ছিল না পাত্রের বাবা-মায়ের। তাঁরাই সহযোগিতা করেন পুলিশকে। তবে ওই পাত্রীর বাবা-মাকে কেন আটক করা হল না, পুলিশের তরফে তার কোনও সদুত্তর মেলেনি।