শুক্রবার মুকুলের পক্ষে তাঁর আইনজীবী সায়ন্তক দাস ছাড়াও হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর দুই আইনজীবী— বিল্বদল ভট্টাচার্য এবং সূর্যনীল দাস। পাশাপাশি শুভেন্দুর পক্ষে বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়ও উপস্থিত হন।
বিধানসভার স্পিকার (মাঝে) বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে গরহাজির মুকুল রায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের শুনানির দিন আবারও পিছিয়ে গেল। আগামী ২৮ এপ্রিল বিধানসভায় স্পিকারের ঘরে পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে। শুক্রবার শুনানির জন্য দু’পক্ষকেই ডেকেছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুকুল তো বটেই, শুনানিতে আসেননি অভিযোগকারী শুভেন্দু অধিকারী। তবে উপস্থিত ছিলেন দু’পক্ষেরই আইনজীবীরা।
শুক্রবার মুকুলের পক্ষে তাঁর আইনজীবী সায়ন্তক দাস ছাড়াও হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর দুই আইনজীবী— বিল্বদল ভট্টাচার্য এবং সূর্যনীল দাস। পাশাপাশি শুভেন্দুর পক্ষে বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়ও উপস্থিত হন।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রতীকে জয়লাভ করেছেন মুকুল। তবে নির্বাচনের ফল প্রকাশের কিছু দিনের মধ্যেই তৃণমূলে যোগদান দেন তিনি। ১১ জুন ছেলে শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে জোড়াফুল শিবিরে যাওয়ার পর মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তোলেন শুভেন্দু। স্পিকার বিমানের কাছে অভিযোগও করেন তিনি। এ নিয়ে শুনানির পরে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ নাকচ করে দেন স্পিকার। বিধানসভার পাশাপাশি এই মামলা প্রথমে কলকাতা হাই কোর্ট এবং পরে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। স্পিকারকে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বলে সুপ্রিম কোর্ট। ১১ ফেব্রুয়ারি স্পিকার জানান, মুকুল বিজেপিতেই রয়েছেন। তবে স্পিকারের সে ‘মন্তব্য’ বাতিল করে চার সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি পুর্নবিবেচনার জন্য নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
মুকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর সময় তৃণমূলের ফেসবুক পেজের একটি ভিডিয়োও স্পিকারের কাছে জমা দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাতে তাঁর তৃণমূলে যোগদানের অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়েছে বলে দাবি। তবে মুকুলের আইনজীবীর পাল্টা দাবি, সেটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল।
শুক্রবার মুকুলের আইনজীবী সায়ন্তক বলেন, ‘‘আমরা আগেই জানিয়েছিলাম। এক বার সৌজন্য বিনিময় করতে গিয়েছিলেন (মুকুল)। ওঁরা যে দাবি করেছে, তা আমরা কখনওই স্বীকার করিনি।’’