school

Suri: স্কুলে দেরিতে ঢোকায় হাজিরা খাতায় সই করতে বাধা, প্রধান শিক্ষকের টুঁটি চেপে ধৃত শিক্ষক

ওই শিক্ষককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। শুক্রবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ির অজয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২২ ১৬:১৮
Share:

প্রধান শিক্ষককে ‘রক্ষা’ করতে গিয়ে প্রহৃত শিক্ষাকর্মী। নিজস্ব চিত্র।

স্কুলে পৌঁছতে দেরি করেছিলেন শিক্ষক। তাই হাজিরা খাতায় তাঁকে সই করতে বাধা দেন প্রধান শিক্ষক। এ নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি, তার পর মারামারিতে জড়ালেন দুই শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের দিকে তিনি তেড়ে যান বলে অভিযোগ। তাঁর জামার কলার চেপে ধরেন।অভিযোগ, সেই সময় এক শিক্ষাকর্মী বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করেন ওই শিক্ষক। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ির অজয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে।

Advertisement

অজয়পুরের ওই স্কুল সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম দেবাশিস খাগ। গত বৃহস্পতিবার দেবাশিসবাবু স্কুলে পৌঁছতে দেরি করেছিলেন। যার জন্য স্কুলের হাজিরা খাতায় তাঁকে সই করতে বাধা দেন প্রধান শিক্ষক আশিস গড়াই। সে নিয়ে প্রথমে শুরু হয় তুমুল বচসা। অভিযোগ, এর পরেই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারতে উদ্যত হন সহ-শিক্ষক। স্কুলের শিক্ষাকর্মী অভিজিৎ ভাণ্ডারি তাঁকে বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় অভিজিৎবাবুকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর পর স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।

আহত শিক্ষাকর্মী বলেন, ‘‘দেবাশিস প্রথমে আমার নাকে ঘুসি মারেন। তার পরে মাটিতে ফেলে লাথি মারা হয়। প্রচণ্ড রক্তপাত হয়েছে। তিনি কিছুদিন ধরেই এই রকম আচরণ করছেন।’’ প্রধান শিক্ষকের দাবি, স্কুলে দেরি করে আসায় তিনি শুধু ওই শিক্ষককে রেজিস্টার খাতায় সই করতে বারণ করেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমাকে জামার কলার ধরে গলা টিপে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। আমার সহকর্মী আমাকে বাঁচাতে এলে তাঁকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় সিউড়ি সদর হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই শিক্ষাকর্মী।’’ অভিযুক্ত শিক্ষকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement