দুর্গাপুরে। নিজস্ব চিত্র
সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় এসে মঙ্গলবার থেমেছিল পেট্রল। বুধবার দুর্গাপুরে একশোর গণ্ডি ছাড়াল পেট্রলের দাম। তিন দিন থমকে থাকার পরে, এ দিন দুর্গাপুরে বেড়েছে ডিজেলের দামও। লিটার প্রতি ২৩ পয়সা বেড়ে ডিজেলের দাম হয়েছে ৯২.৩৭ টাকা। জ্বালানির উর্ধ্বমুখী দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ী, সকলেই।
মঙ্গলবার দুর্গাপুরে পেট্রলের দর ছিল ৯৯.৬৯ টাকা। এ দিন হয়েছে ১০০.০৮ টাকা। জ্বালানি ভরতে এসে পেট্রলের দাম দেখে ক্ষোভ উগরে দেন অনেকেই। পাম্প মালিকদের একাংশের আশঙ্কা, এ ভাবে দাম বাড়লে বিক্রি কমবে।
গত ৪ জুলাই দুর্গাপুরে পেট্রলের দর ছিল ৯৯.৩০ টাকা। ৬ জুলাই তা বেড়ে হয় ৯৯.৬৯ টাকা। এ দিন সকাল ৬টায় লিটার পিছু পেট্রলের দাম একশো ছাড়ায়। ‘এক্সট্রা প্রিমিয়াম’ পেট্রলের দর হয়েছে ১০৪.১৮ টাকা প্রতি লিটার। গত ৪, ৫ এবং ৬ জুলাই ডিজেলের দাম ছিল ৯২.১৪ টাকা প্রতি লিটার। এ দিন বেড়ে হয়েছে ৯২.৩৭ টাকা প্রতি লিটার।
বুধবার সিটি সেন্টারের কাছে একটি পাম্পে মোটরবাইকে পেট্রল ভরতে এসেছিলেন সুব্রত বিশ্বাস। দাম দেখে বলেন, ‘‘আর পারা যাচ্ছে না! বাইক ছাড়া, যাতায়াত সম্ভব হয় না। এ বার দেখছি, পেট্রল ভরতে খাবারের খরচ কমাতে হবে।’’ আনাজ ব্যবসায়ী বিনয় মল্লিকের বক্তব্য, ‘‘পেট্রলের দাম বাড়ার প্রভাব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উপরে ততটা পড়েনি। কিন্তু ডিজেল দাম বাড়লে সব জিনিসের দাম আরও বেশি
করে বাড়বে।’’
এ দিন মিনিবাস পরিষেবা চালু হয়েছে দুর্গাপুরে। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকে কিছু বাড়তি দিতে হয়েছে যাত্রীদের। এ ছাড়া, পরিষেবা চালু রাখা সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছেন বাস মালিকেরা। মিনিবাস মালিক সংগঠনের কর্তা কাজল দে বলেন, ‘‘ডিজেলের দাম একশো পেরিয়ে গেলে কী ভাবে পরিষেবা চালু থাকবে জানি না!’’ পাম্প মালিকদের সংগঠন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর অন্যতম কর্তা বিশ্বদীপ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘এ ভাবে দাম বাড়লে সকলেই সমস্যায় পড়বেন। দাম যাতে নাগালের মধ্যে থাকে, তার জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’’