ভিড় কমছে না কাটোয়ার রাস্তায়। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়
পুরসভার এক সাফাইকর্মী করোনা আক্রান্ত হলেন কাটোয়ায়। শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হরিজনপল্লির বাসিন্দা ওই কর্মীকে বর্ধমানের ‘কোভিড’-হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে আসা মানুষজনের খোঁজ শুরু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, হরিজনপল্লি এলাকা গণ্ডিবদ্ধ করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা যায়, ওই কর্মীর করোনা-আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনে অন্য সাফাইকর্মীদের অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে শহর পরিচ্ছন্ন রাখার কাজে যাতে সমস্যা না হয়, তা নজরে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুরসভা।
কাটোয়া পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সাফাইকর্মী কয়েকদিন আগে কলকাতায় স্ত্রীকে আনতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পরে, তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রিপোর্ট আসতে দেখা যায়, তাঁর স্ত্রীর রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ হলেও ওই সাফাইকর্মীর রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’। তা জানার পরে, বৃহস্পতিবার পুরসভার সাফাইকর্মীরা থেকে শুরু করে, অন্য নানা বিভাগের অনেক কর্মীও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
পুরসভার প্রশাসক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘ওই সাফাইকর্মী কলকাতায় গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, তিনি এক জনের সংস্পর্শেই এসেছিলেন। তাঁকে ‘কোয়রান্টিন’-এ থাকতে বলা হয়ছে। আর কেউ সংস্পর্শে এসেছিলেন কি না, দেখা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, হরিজনপল্লি ও আশপাশের এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। কর্মীদের মনোবল যাতে ভেঙে না পড়ে, সাফাইয়ের কাজ ব্যাহত না হয়, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। মহকুমাশাসক (কাটোয়া) প্রশান্তরাজ শুক্ল বলেন, ‘‘ওই কর্মীর বাড়ির এলাকা বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তবে মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।’’
উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে