Death

‘গাফিলতিতে’ মৃত্যু, নির্দেশ তদন্তের

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে এ দিন বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২০ ০২:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী-মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছিল দুর্গাপুরের গাঁধী মোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ‘রাজ্য ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিটি’ অভিযোগের শুনানির পরে, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিষয়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে তদন্ত করতে বলেছে।

Advertisement

সিটি সেন্টারের সরোজিনী পথের বাসিন্দা শুভজিৎ রায়ের অভিযোগ, তাঁর মা অঞ্জলি রায়কে প্রথমে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ২৯ মে বিকেলে। তিনি স্নায়বিক সমস্যায় ভুগছিলেন। শুভজিৎবাবু বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই হাসপাতালে মায়ের ঠিকমতো চিকিৎসা হয়নি। রোগ নিরাময় না হওয়া সত্ত্বেও মা-কে ১৫ জুন হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’’

অভিযোগ, ছাড়া পাওয়ার পরে, বাড়িতে ফিরে দিন-দিন অঞ্জলিদেবীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ২০ জুন ফের তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে দিনই তাঁর মৃত্যু হয়। শুভজিৎবাবুর অভিযোগ, ‘‘হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা মায়ের ঠিকমতো যত্ন নেননি। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কোনও সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও নজরে পড়েনি।’’ হাসপাতালের এক আধিকারিক অবশ্য দাবি করেছেন, অঞ্জলিদেবী-সহ যে কোনও রোগীকেই সর্বোচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

শুভজিৎবাবুর অভিযোগের তদন্তে ‘রাজ্য ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিটি’ দু’পক্ষকে নিয়ে দীর্ঘ শুনানি করে। বুধবার শুভজিৎবাবুকে কমিটির পর্যবেক্ষণের কপি পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়েছে, ‘মৃত্যুর কারণ হিসেবে শংসাপত্রে ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর প্রকৃত (অ্যাকচুয়াল) কারণ স্পষ্ট করেননি। ১৮ দিন চিকিৎসার পরে, সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে কী ভাবে আবার পাঁচ দিনের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হল তা স্পষ্ট নয়’। আরও বলা হয়েছে, ‘অভিযোগকারী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে পাঠানো হয়েছে’।

হাসপাতালের তরফে আধিকারিক প্রবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কমিটির পর্যবেক্ষণের কপি এখনও হাতে এসে আসেনি। তা পেলে, খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের সঙ্গে এ দিন বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement