Death

ভিন্‌ রাজ্য থেকে ফিরে মৃত্যু, টানাপড়েন

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিহারে কাজে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। সপ্তাহ দু’য়েক আগে ট্রেনে ফেরেন তাঁরা। মৃতার ছেলে রতন সরকার জানান, দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবিটিস ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন নমিতাদেবী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২০ ০৬:১২
Share:

প্রতীকী ছবি

সপ্তাহ দু’য়েক আগে ভিন্‌ রাজ্য থেকে ফিরেছে পরিবারটি। রবিবার রাতে ওই পরিবারের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। কিন্তু মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহে সৎকারে এগিয়ে আসেননি আউশগ্রাম ১ ব্লকের বেরেন্ডা পঞ্চায়েতের বেলুটি গ্রামের কেউ। পরে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসকেরা গিয়ে জানান, হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে পড়ার কারণে স্বাভাবিক ভাবে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। দশ ঘণ্টা পরে সৎকার হয় নমিতা সরকারের (৭৯)।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিহারে কাজে গিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। সপ্তাহ দু’য়েক আগে ট্রেনে ফেরেন তাঁরা। মৃতার ছেলে রতন সরকার জানান, দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবিটিস ও হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন নমিতাদেবী। রবিবার শ্বাসকষ্ট হওয়ায় বোলপুরের সিয়ান হাসপাতালে দেখানো হয় তাঁকে। সেখান থেকে ফিরে আসার পরে রাত ২টো নাগাদ অবস্থার অবনতি হলে বাড়িতেই মারা যান তিনি। সোমবার ভোরে গ্রামের লোকজন তাঁর মৃত্যুর খবর পান। রতনবাবুর দাবি, ‘‘যেহেতু মা রাজ্যের বাইরে গিয়েছিলেন, তাই তাঁদের ধারণা হয়। মা হয়তো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। সেই কারণেই সৎকারের জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি।’’ তাঁর অভিযোগ, “করোনা নিয়ে অযথা আতঙ্ক বা গুজব ছড়ানো নিয়ে সরকারের তরফে নিষেধ করা হচ্ছে। তার পরেও মায়ের মৃত্যু নিয়ে যে ভাবে টানাপড়েন তৈরি হল, তা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।” তবে স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসন এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন বলে দাবি তাঁর।

বেরেন্ডা পঞ্চায়েতের সদস্য সঞ্জয় মজুমদার জানান, কিছুদিন আগে ওই পরিবারের লোকজন গয়া গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পরে ওই বৃদ্ধা মারা যাওয়ায় প্রথমে গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি ব্লক প্রশাসনকে জানানো হলে স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল আসে গ্রামে। ওই চিকিৎসকেরা মৃত্যুর কারণ স্বাভাবিক বলেই জানান। এর পরেই দেহের সৎকার করা হয়।

Advertisement

আউশগ্রাম ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ধীমান মণ্ডলও বলেন, “ওই বৃদ্ধা দীর্ঘদিন ধরে নানা অসুখে ভুগছিলেন। যে চিকিৎসকের কাছে তিনি দেখাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলা হয়। রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। সে কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement