রণডিহায় এই লকগেট দেখতে ভিড় জমে পর্যটকদের। নিজস্ব চিত্র
শীত পড়লেই জনসমাগম ঘটে পূর্ব বর্ধমানের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের রণডিহায়। তবে বেশ কয়েক বছর সে ভাবে ভিড় দেখা যাচ্ছে না পর্যটকদের, দাবি বাসিন্দাদের একাংশের। তাঁদের অভিযোগ, উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবই এর কারণ। এলাকার উন্নয়নে কয়েক বছর আগে গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতি তোড়জোড় করলেও, তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ।
দামোদর নদের পাড়ে থাকা রণডিহায় লকগেট দেখতে শীতের সময়ে দিনভর ভিড় জমাতেন বহু মানুষ। পাশাপাশি, মাছ ধরতেও অনেককেই আসতে দেখা যেত। তবে স্থানীয় বাসিন্দা কালীপদ দত্ত, সহদেব মণ্ডলেরা বলেন, “এলাকায় পর্যটকদের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এলাকার যথেষ্ট আকর্ষণ থাকলেও, পরিকাঠামোর অভাবই এর কারণ।” এলাকাবাসীর একাংশের ক্ষোভ, লকগেট বা দামোদরের টান থাকলেও, পর্যটকদের বিনোদনের জন্য উপযুক্ত কোনও পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন। তাঁরা জানান, দিনভর কেউ এখানে থাকবেন, তা মনস্থির করে এলে, তাঁর সমস্যায় পড়াটাই দস্তুর। এমনকি, শীত ছাড়া, বছরের অন্য সময়ে এখানে খাবারের দোকানও থাকে না বলে অভিযোগ।
এ দিকে, গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক আগে পরিকল্পনা করা হয়, দামোদর পাড়ের বিস্তীর্ণ অংশে কংক্রিটের বাঁধ দেওয়া হবে। থাকবে বসার জায়গাও। তৈরি করা হবে, রাত্রিবাসের ব্যবস্থা, শৌচাগার, ইকো-ট্যুরিজ়ম পার্ক। কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২০১৯ থেকে ২০২১, এই সময়পর্বে পরিকল্পনা রূপায়ণে কোনও তোড়জোড় দেখা যায়নি।
যদিও গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্য পর্যটন দফতরের কাছে বিষয়টি নিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোভিড-পরিস্থিতিতে আর কোনও কাজ হয়নি। দ্রুত প্রস্তাবের অনুমোদন মিলবে বলে আশা করছি।” পঞ্চায়েত সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি রণডিহা এলাকায় প্রশাসনিক বৈঠকও করা হয়েছিল। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় পলিব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে, ডিজে বাজানো এবং মদ্যপানও।