Development

আন্ডারপাসের দাবিতে বর্ধমানের দু’জায়গায় জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণে বাধা স্থানীয়দের, যানজট

গলসিতে আন্ডারপাসের দাবিতে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ করে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধ করেন জাতীয় সড়কও। অন্য দিকে, বর্ধমান শহরেও একই দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করেন স্থানীয়রা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৯:৫৩
Share:

জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণে বাধা স্থানীয় বাসিন্দাদের। — নিজস্ব চিত্র।

প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, ছয় লেনের জাতীয় সড়কে থাকবে আন্ডারপাস। কিন্তু অভিযোগ, সেই প্রতিশ্রুতি কেবল খাতায়কলমেই থেকে গিয়েছে। তারই প্রতিবাদে পূর্ব বর্ধমানের দু’জায়গায় জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ করে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দু’জায়গাতেই জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ দেখান হয়। এতে যানজটে নাকাল হন বহু মানুষ।

Advertisement

প্রথম ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর গলসিতে। ভাসাপুলে আন্ডারপাসের দাবিতে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ করে দেন স্থানীয়রা। একই দাবিতে বর্ধমান শহরের মিরছোবাতেও ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ থাকে জাতীয় সড়ক। জোড়া অবরোধের জেরে নাকাল জাতীয় সড়কে চলাচলকারী মানুষ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথম অবরোধ হয় গলসিতে। শুক্রবার সকল ১০টা নাগাদ গলসির ভাসাপুল বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হন এলাকার মানুষ। সড়ক সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ করে দেন। অবরোধে দেখা যায় স্কুল পড়ুয়াদেরও। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। আন্দোলনকারীদের দাবি, দামোদরের ধারে সিমাসিমি, কাশীপুর, শিড়রাই, পোতনা ও খুরাজ-সহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের নিত্যপ্রয়োজনে রাস্তা পারাপার করতে হয়। রাস্তায় বড় বড় ট্রাক, বাস চলে। যে কোনও সময় ব়ড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই এই এলাকায় প্রয়োজন একটি আন্ডারপাসের।

Advertisement

অন্য অবরোধের ঘটনা বর্ধমান শহরে। মিরছোবাতে আন্ডারপাসের দাবিতে ঘন্টাখানেক অবরোধের জেরে আটকে পড়েন বহু মানুষ। অবরোধকারীদের অভিযোগ, আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও এখন ছ’লেনের রাস্তার কাজ চললেও এখানে আন্ডারপাস করার ব্যাপারে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কোনও উদ্যোগ নেননি। পরে পুলিশ ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষর আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার বলেন, ‘‘এলাকার বাসিন্দারা ২০১৫ থেকে আন্ডারপাস বা ওভারব্রিজের দাবি করছেন। বার বার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা হচ্ছে না। আমার এই এলাকাতেই বাড়ি। প্রতিদিন এখানে দুর্ঘটনা ঘটে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement