মায়া নামে ওই বধূ জানান, লটারি জেতার খবর পেয়ে স্বামীকে নিয়ে থানায় চলে যান তিনি। —নিজস্ব চিত্র।
স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই লটারির টিকিট কাটতেন। মাঝেমধ্যেই ছোটখাটো পুরস্কার জিততেন তাঁরা। কিন্তু এ বারে একবারে ‘ছক্কা’। রাতারাতি কোটিপতি টোটোচালক দম্পতি। খড়্গপুরের বধূ জিতেছেন ১ কোটি টাকা। কিন্তু এত টাকা নিয়ে কী করবেন, তা-ই ভেবে উঠতে পারছেন না আনন্দে আত্মহারা ওই বধূ।
পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের সালুয়ার গোলাপী এলাকায় বাড়ি টোটোচালক সুমন কাচারি এবং তাঁর স্ত্রী মায়ার। একচিলতে বাড়িতে টানাটানির সংসার। ভাগ্য ফেরাতে প্রায়শই লটারির টিকিট কাটতেন বলে জানাচ্ছেন মায়া। অবশেষে মিলল কোটি টাকার জ্যাকপট। বৃহস্পতিবার খেলা লটারির টিকিটে প্রথম পুরস্কার জিততেই তড়িঘড়ি থানায় ছুটলেন দম্পতি।
মায়া বলেন, ‘‘গত ৩-৪ বছর ধরে এলাকার একটি নির্দিষ্ট দোকান থেকে লটারির টিকিট কিনছি।’’ তিনি জানান, এর আগে বড় পুরস্কার বলতে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার যখন ওই লটারি দোকানদার ফোন করে জানান যে তিনি কোটি টাকা জিতেছেন, বিশ্বাসই করতে পারেননি মায়া। তিনি ভাবছিলেন মজা করছেন ওই পরিচিত দোকানদার। তিনি স্বামী-সহ বাড়ির বাকি সদস্যদের বলেছিলেন ব্যাপারটা। তাঁদের অবস্থাও একই। প্রথমে সবাই বলেছিলেন, ‘হতে পারে না।’ কিন্তু হয়েছে। সত্যি সত্যি কোটি টাকা জেতার খবর পেয়ে বসে বসে টিকিটের নম্বর মেলান ওই বধূ। এর পরই স্বামীকে নিয়ে থানায় চলে যান। শুক্রবার মায়া বলেন, ‘‘ওই টাকা ব্যাঙ্কে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু এখনও ঠিক করতে পারিনি যে, কী করব এই টাকায়।’’ এখন নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন দম্পতি।
কোটি টাকা জিতে কেমন লাগছে? প্রশ্ন করতেই মায়ার সলজ্জ জবাব, ‘‘আপনারাই বলুন, কোটি টাকা জিতলে কেমন লাগতে পারে!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কিন্তু এত টাকা নিয়ে কী করব, ভাবছি। চিন্তায় পড়ে গিয়েছি।’’