তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিজিৎ ঘটক এবং অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
আসানসোলে অব্যাহত রইল তৃণমূলের দাপট। গতবারের ফল এ বার ছাপিয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে বিজেপি, সিপিএম বা কংগ্রেস, কোনও বিরোধীর আসনই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি।
বিপুয় জয়ের সঙ্গে সঙ্গেই আসানসোল পুরনিগমের মেয়র কে হতে চলেছেন তা নিয়ে জল্পনা জোরালো হচ্ছে। ২০১৫ সালে আসানসোল পুরসভায় নির্বাচনের পর মেয়র হয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তার পর ওই পুরসভার প্রশাসকও ছিলেন তিনি। অবশ্য গত বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে জিতেন যোগ দেন বিজেপি-তে। তার পর থেকে আসানসোল পুরসভার প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। এ বারেও জিতেছেন অমরনাথ। জয় পেয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। দু’বার মেয়র পারিষদ থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। আবার প্রথম বার ভোটে দাঁড়িয়েই সাফল্যের স্বাদ পেয়েছেন মলয়ের বন্ধু তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অমরনাথ, অভিজিৎ এবং তপন— আসানসোলে এই তিন জন মেয়রের দৌড়ে রয়েছেন বলে জল্পনা জোড়াফুল শিবিরের একাংশের মধ্যে।
পুরসভার মেয়র কে হচ্ছেন তা নিয়ে তিন জনের নাম জল্পনার স্তরে থাকলেও, পুরসভা পরিচালনার কাজে অভিজ্ঞ অমরনাথের মন্তব্য, ‘‘দল স্থির করবে কে মেয়র হবে। তবে আমি মেয়র হলে আসানসোলের অনেক কাজ হবে। এলাকার উন্নয়ন হবে। দলেরও ভাল হবে।’’ মেয়র হিসাবে ভাসছে মলয়ের ভাই অভিজিতের নামও। তাঁর অবশ্য বক্তব্য, ‘‘দল দু’এক দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে কে মেয়র হবেন। মন্ত্রী মলয় ঘটক অবিভাবকের মতো আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।’’ একই সুরে মলয়-বন্ধু তপনও মন্তব্য, ‘‘আমাদের সব কাউন্সিলরের মধ্যে মেয়র কে হবেন দল স্থির করবে। দল আমাকে যা দায়িত্ব দেবে তাই পালন করব।’’
২০১৫ সালে ১০৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ৭৪টি। বামফ্রন্টের ঝুলিতে ছিল ১৭টি আসন। এর মধ্যে একা সিপিএম-ই ছিল ১৪টি। বিজেপি পেয়েছিল আটটি আসন এবং কংগ্রেস পেয়েছিল তিনটি আসন। এ বার এক লাফে তৃণমূলের আসন বেড়ে হয়েছে ৯১। বামফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র দু’টি আসন। এ ছাড়া কংগ্রেস পেয়েছে তিনটি আসন, বিজেপি পেয়েছে সাতটি আসন এবং অন্যান্যরা পেয়েছে তিনটি আসন। গত বার তৃণমূলের ভোট শতাংশ ছিল ৪৬.৩২ শতাংশ। এ বারে তা বেশ কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৬৩.৬১ শতাংশ।