ছবি— পিটিআই।
হুগলির চন্দননগরে মোট ৩২ আসনের মধ্যে একা তৃণমূলই পেয়েছে ৩১টি আসন। একটি মাত্র ওয়ার্ড নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বামেদের। খাতা খুলতে পারেনি বিজেপি। এর আগেও চন্দননগরে দাপট দেখিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। কিন্তু এ বারের সাফল্য ছাপিয়ে গিয়েছে অন্যান্য বারের নির্বাচনকে। তৃণমূলনেত্রী এই বিপুল জয়কে মানুষের উদ্দেশে উৎসর্গ করে বলেছেন, ‘‘যত জিতব, তত নম্র হয়ে মানুষের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’’
রাজ্যের চার পুরনিগমে মোট ২২৬টি আসনে ভোট হয়েছিল শনিবার। সোমবার ফল প্রকাশের পর দেখা গেল তৃণমূল সব মিলিয়ে ১৯৮টি আসনে জিতেছে। অর্থাৎ ৮৮ শতাংশ আসনেই জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। চন্দননগরের সামগ্রিক ফলও একই। ৩২ আসনের চন্দননগর পুরনিগমে ৯৭ শতাংশ আসন জিতেছে তৃণমূল। একটি আসনে জেতা বাদে মোট ২৮টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা।
চন্দননগরে তৃণমূলের অন্যতম মুখ তথা প্রাক্তন মেয়র রাম চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। দলনেত্রীর নির্দেশ মেনে নতুন পুরবোর্ড আরও নম্র ভাবে মানুষের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে। তৃণমূল পুরবোর্ড আরও উন্নত নাগরিক পরিষেবা পৌঁছে দেবে মানুষের দুয়ারে।’’
কী বলছেন, স্থানীয়েরা? তৃণমূলের এই বিপুল জয়ে খুশি চন্দননগর। পাশাপাশি ‘সাবধানবাণী’ও মনে করিয়ে দিচ্ছেন অনেকে। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রামকৃষ্ণ মণ্ডল বলছেন, ‘‘এই ফল প্রত্যাশিতই ছিল। তবে বামেদের আসন আরও কয়েকটা বাড়বে ভেবেছিলাম। গণতন্ত্রে বিরোধী না থাকলে তা শাসকের পক্ষে আখেরে ক্ষতিকর। আশা করব পুর পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অভিযোগের জায়গা রাখবে না নতুন পুরবোর্ড।’’