Dead

প্রেমিকার পরিবার বিয়েতে রাজি নয়, কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা যুবকের! প্ররোচনার অভিযোগে ধৃত ৪

ধৃতদের রবিবার বর্ধমান আদালতে আদালতে হাজির করানো হয়। অভিযুক্ত প্রেমিকা সুপর্ণাকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামালপুর শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২৩:২১
Share:

ফাইল চিত্র।

যুবককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার প্রেমিকা। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রেমিকার পরিবারের তিন সদস্যকেও। পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুপর্ণা চট্টোপাধ্যায়, তাপস চট্টোপাধ্যায়, চন্দনা চট্টোপাধ্যায় ও তারকনাথ চট্টোপাধ্যায়। জামালপুর থানার কেউটারা গ্রামে তাঁদের বাড়ি। শনিবার রাহুল ঘোষ নামে ওই যুবকের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। প্রেমিকার পরিবারের লোকজনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রেমিকা ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে উদ্ধার করে। পরে মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ধারায় মামলা রুজু করে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের রবিবার বর্ধমান আদালতে আদালতে হাজির করানো হয়। অভিযুক্ত প্রেমিকা সুপর্ণাকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বাকিদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, রাহুলের সঙ্গে সুপর্ণার ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। উভয়ের পরিবারই বিষয়টি জানত। কিন্তু সুপর্ণার পরিবারের লোকজন রাহুলের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ লেগেই ছিল। দিন কয়েক আগেই সুপর্ণার পরিবার রাহুলের বাড়িতে গিয়ে জানিয়ে দেন, তারা বিয়েতে রাজি নন। এমনকি, সুপর্ণার অন্যত্র বিয়ের ঠিক হয়েছে বলেও জানানো হয়। অভিযোগ, এতেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ে রাহুল শুক্রবার সকালে কীটনাশক খান রাহুল। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই শনিবার বিকেলে তিনি মারা যান।

অভিযোগে রাহুলের বাবা জানিয়েছেন, সুপর্ণা ও তাঁর পরিবারের লোকজন মানসিক নির্যাতন চালাত রাহুলের উপর। তার জেরেই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন তাঁর ছেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, কীটনাশকের শিশিটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement