উচ্চ মাধ্যমিকের ফল বেরনোর দিনে তা পায়নি দুর্গাপুরের বেনাচিতির শালবাগানের অনিকেত চট্টরাজ। ফলের জন্য আবেদন জানালে প্রায় এক মাস পরে সংশোধিত ফলে দেখা যায়, পাশ করেছে সে। কিন্তু দেরিতে ফল পাওয়ায় কোনও কলেজে মিলছে না ভর্তির সুযোগ। শেষমেশ তার বাবা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।
দুর্গাপুর সি জোনের একটি স্কুল থেকে এ বার উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছিল অনিকেত। পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল এমএএমসি মডার্ন হাইস্কুলে। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে ওয়েবসাইটে তার রেজাল্ট মেলেনি। স্কুলেও মার্কশিট আসেনি। পরে স্কুলের তরফে ও অনিকেতের বাবা অমিতবাবু উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের জেলা দফতরে যোগাযোগ করেন। অমিতবাবু জানান, সেখান থেকে কোনও তথ্য না মেলায় তাঁরা কলকাতায় সংসদের মূল দফতরে যোগাযোগ করেন। অমিতবাবুর দাবি, তাঁদের জানানো হয়, অনিকেতের খাতা পাওয়া যাচ্ছে না। এর পরে পরীক্ষাকেন্দ্রে যোগাযোগ করে সেখান থেকে পরীক্ষার দিনে অনিকেতের উপস্থিতির তথ্য জোগাড় করে নির্দিষ্ট দফতরে জমা দেওয়া হয়। স্কুল সূত্রে খবর, ২৩ জুন সংসদ থেকে জানানো হয়, ওই ছাত্রের ফল পাওয়া গিয়েছে। ২৪ জুন মার্কশিট দেওয়া হয়। দেখা যায়, অনিকেত ৩০৪ নম্বর পেয়েছে। স্কুল সূত্রে খবর, কলেজে যাতে তাকে ভর্তি নেওয়া হয় সে জন্য উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ডেপুটি সেক্রেটারি (পরীক্ষা) কল্যাণ সেনগুপ্ত চিঠিও লিখে দেন।
কিন্তু তত দিনে সব কলেজে অনলাইনে আবেদনের সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তাই কোনও কলেজে ভর্তি হতে পারেনি অনিকেত। পরে অমিতবাবু দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরার কাছে ভর্তির ব্যবস্থা করার আবেদন জানান। শঙ্খবাবু দুর্গাপুর গভর্নমেন্ট কলেজকে চিঠি দিয়ে অনিকেতকে ভর্তির বিষয়টি দেখতে বলেন। তিনি বলেন, ‘‘ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ। ওই ছাত্রের বিষয়টি মানবিক ভাবে দেখার আর্জি জানিয়ে চিঠি দিয়েছি কলেজ কর্তৃপক্ষকে।’’
তবে অমিতবাবু জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভর্তির ব্যাপারে এখনও কোনও আশ্বাস মেলেনি। সরকারি গাফিলতিতে ছেলের একটি বছর নষ্ট হতে বসেছে বলে তাঁর অভিযোগ। তাতে অনিকেত মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে বলেও জানান তিনি। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও হুঁশিয়ারি অমিতবাবুর।