উপাচার্যের ইস্তফার দাবিতে আন্দোলনে কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকেরা। —নিজস্ব চিত্র।
কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে অধ্যাপকদের সংঘাত আরও বাড়ল। উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর ইস্তফার দাবিতে আন্দোলনকারী অধ্যাপকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বর ছেড়ে রাস্তায় নেমে মিছিল করলেন। সোমবার আসানসোলে এই মিছিল হয়।
বিভিন্ন বিভাগ থেকে অধ্যাপকদের ইস্তফা ও অবস্থান বিক্ষোভ সীমাবদ্ধ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে সোমবার অধ্যাপকেরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন আরও জোরদার করেন। আন্দোলনকারীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে পুনর্বহাল করতে হবে। তদন্ত করতে হবে উপাচার্যের দুর্নীতির। এবং উপাচার্যকে বহিষ্কার করতে হবে। এই ৩ দাবিতে আসানসোলের চেলিডাঙ্গা থেকে মিছিল করে রবীন্দ্রভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হলেন অধ্যাপকেরা। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয় আওতায় থাকা বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপকরাও সোমবার এই আন্দোলনে যোগ দেন। অধ্যাপক বনাম উপাচার্যের সংঘাতে প্রায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরখাস্ত, ডেপুটি রেজিস্ট্রার আসছেন না, উপাচার্জের দেখা নেই এবং উপাচার্য ‘ঘনিষ্ঠ’ ডেভেলপমেন্ট অফিসার আসছেন না, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি ছাড়িয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে নেমেছেন অধ্যাপকেরা।
ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জন অধ্যাপক বাড়তি দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সোমবার ওই অধ্যাপকেরাও মিছিলে পা মেলান। আন্দোলনকারীদের দাবি, একসঙ্গে ২২ জন অধ্যাপকের পদত্যাগপত্র পাওয়ার পর সুর নরম করেছিলেন উপাচার্য। অধ্যাপকদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। যদিও আন্দোলনকারী অধ্যাপকেরা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকায় অচলবস্থা কাটেনি। উল্টে উপাচার্যকেই তিনটি শর্ত দিয়েছিলেন অধ্যাপকেরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, শুক্রবার ২২ জন অধ্যাপক তাঁদের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কাজ করে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তাঁরা। আন্দোলন চললেও পঠনপাঠন, গবেষণার কাজ ঠিকঠাক চলছে বলেও দাবি ছিল তাঁদের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে উচ্চ শিক্ষা দফতরের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, কর্মচারী ও বিভিন্ন কলেজের অধ্যাপকেরাও।